Hare to Whatsapp
নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়তে প্রত্যেক নাগরিককে দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে : ক্রীড়ামন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, নভেম্বর ১০, : নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তুলতে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের উদ্যোগে ৯ নভেম্বর সচিবালয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর সভাপতিত্বে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নেশামুক্ত ত্রিপুরা কর্মসূচিকে সফল করতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আরক্ষা, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বৈঠকে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, রাজ্য প্রশাসনের উদ্যোগে নেশার বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান অভিযান চালানাে হচ্ছে এবং এর নিরিখে সফলতাও পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, শুধুমাত্র পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে এই অভিযান সফল করা সম্ভব নয়। এই কর্মসূচি সফল করতে সমাজের প্রত্যেক নাগরিককে দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, নেশার কুফল সম্পর্কে সবাইকে অবগত করতে হবে। এজন্য প্রয়ােজন ব্যাপক প্রচারাভিযানের মাধ্যমে জনসচেতনতা গড়ে তােলা।
বৈঠকে ক্রীড়ামন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী নেশামুক্ত ত্রিপুরা কর্মসূচিকে সফল করে তুলতে বিভিন্ন ব্লকের বাজার, জনবহুল স্থানে প্রচার অভিযানের উপর গুরুত্বারােপ করেন। তিনি বিদ্যালয়স্তর থেকে শুরু করে কলেজ স্তরের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে সচেতনতা শিবির করার পরামর্শ দেন। এছাড়াও তিনি এই কর্মসূচিকে সফল করতে ক্রীড়া দপ্তরের উদ্যোগে বিভিন্ন ক্রীড়ানুষ্ঠান, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে পথনাটকের আয়ােজন করা, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের মাধ্যমে সচেতনতা শিবির করার জন্যও পরামর্শ দেন। আরক্ষা দপ্তরের প্রয়াস কর্মসূচির সঙ্গে নেশামুক্ত ত্রিপুরা কর্মসূচিকেও যুক্ত করা যায় কিনা সেই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের পরামর্শ দেন। বৈঠকে ক্রীড়ামন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এই কর্মসূচিকে সফল করার জন্য পঞ্চায়েত স্তর থেকে শুরু করে রাজ্যস্তর পর্যন্ত জনপ্রতিনিধি এবং প্রত্যেকটি দপ্তরকে একযােগে কাজ করার পরামর্শ দেন।
বৈঠকে পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব, পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র মণিকা দাস দত্ত, তথ্য ও সংস্কৃতি তথা যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের সচিব পি কে চক্রবর্তী, আরক্ষা দপ্তরের আধিকারিক, রাজ্যের বিভিন্ন জিলা পরিষদের সভাধিপতি, সহকারি সভাধিপতি সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগণ নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তােলার বিষয়ে মতবিনিময় করেন।