Hare to Whatsapp
মনােরােগ বিশেষজ্ঞদের সমাজের প্রতি দায়িত্ব অনেক বেশি : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, অক্টোম্বর ৩১, : মনােরােগ বিশেষজ্ঞগণ সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। মনােরােগ বিশেষজ্ঞদের প্রতিদিনের নিত্য কাজের বাইরে সমাজের প্রান্তিক স্তরে গিয়ে মানুষের উপকারে এগিয়ে আসা প্রয়ােজন। মানুষকে মনােরােগ সম্পর্কে অবহিত করা দরকার। এতেই সমাজের প্রকৃত কাজে আসা সম্ভব। ৩০ অক্টোবর আগরতলার গােখাবস্তিস্থিত মাণিক্য এনক্লেভে ইন্ডিয়ান সাইকিয়াট্রিক সােসাইটির ত্রিপুরা রাজ্য শাখা আয়ােজিত ২২তম বার্ষিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মনােরােগ বিশেষজ্ঞদের সমাজের প্রতি দায়িত্ব অনেক বেশি। মনােরােগ বিশেষজ্ঞগণ যেন মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে এগিয়ে আসেন। কারণ শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিকভাবেও সুস্থতা প্রয়ােজন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানসিক স্বাস্থ্যকে বিপন্ন করার ক্ষেত্রে ড্রাগস বা নেশা একটি মারাত্মক ক্ষতিকারক দিক। রাজ্যে বর্তমান সরকার নেশার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে। পাশাপাশি নেশার বিরুদ্ধে জনসচেতনতাও গড়ে তােলা হচ্ছে। সরকার এই স্পর্শকাতর বিষয়টি সম্পর্কে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। তিনি বলেন, মনােরােগ চিকিৎসকদের মানুষের সাথে মিশতে হবে। তাদের প্রকৃত মানসিক সমস্যা অনুধাবন করার জন্য মনােরােগ চিকিৎসকদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী আহ্বান জানান। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিকাঠামাে উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য পরিষেবার সম্প্রসারণের উপর অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। এতে বহিরাজ্যে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার প্রবণতাও কমছে। রাজ্যের মানুষ রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা উপর আস্থাশীল হচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ছাত্রছাত্রীদের মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে অভিভাবকদেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে।
অনুষ্ঠানে ইন্ডিয়ান সাইকিয়াট্রিক সােসাইটির ত্রিপুরা রাজ্য শাখার ২২তম বার্ষিক সম্মেলনে ২ জন প্রবীণ মনােরােগ বিশেষজ্ঞ ডা. এ কে নাথ ও ডা. জীবন চক্রবর্তীকে। সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইন্ডিয়ান সাইকিয়াট্রিক সােসাইটির ত্রিপুরা রাজ্য শাখার সহসভাপতি ডা. দীপায়ন সরকার। তাছাড়াও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা শুভাশিস দেববর্মা, পরিবার কল্যাণ ও রােগ প্রতিরােধক দপ্তরের অধিকর্তা ডা. রাধা দেববর্মা, ডা, প্রিয়জ্যোতি চাকমা, ডা. হরপ্রসাদ শর্মা প্রমুখ। ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন ডা. স্বপন চন্দ্র বর্মণ।