Hare to Whatsapp
মুখ্যমন্ত্রী আদর্শ গ্রাম প্রকল্পে ৫৫টি গ্রামকে আদর্শ গ্রামে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে : গ্রামােন্নয়ন ও পঞ্চায়েত দপ্তরের বিশেষ সচিব
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, অক্টোম্বর ৩০, : রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার ৮,৬১১ জন ব্যবসায়ীকে মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর যােজনার (গ্রামীণ) আওতায় আনা হয়েছে। তাদের প্রত্যেককেই বিনামূল্যে বীমা করে দেওয়া হয়েছে। ২৯ অক্টোবর সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে আয়ােজিত সাংবাদিক সম্মেলনে গ্রামােন্নয়ন ও পঞ্চায়েত দপ্তরের বিশেষ সচিব সন্দীপ আর রাঠোর এ সংবাদ জানিয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে বিশেষ সচিব জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যােজনায় ২০২০-২১ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে মােট ৬ লক্ষ পরিবারকে বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহের জন্য বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মাধ্যমে ২৮ হাজার ৩৮৪ পরিবারকে পশুপাখি সহ বিভিন্ন সহায়তা, মৎস্য দপ্তরের মাধ্যমে ১ লক্ষ ৪ হাজার ৯৮৯ পরিবারকে মাছের পােনা সহ বিভিন্ন সহায়তা, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ, উদ্যানপালন ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের মাধ্যমে ৩ লক্ষ ৭৪ হাজার ৪০৪ পরিবারকে কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন উপকরন এবং বন দপ্তরের মাধ্যমে ৩ লক্ষ ৮৭ হাজার ৪৫টি পরিবারকে গাছের চারা সহ বিভিন্ন উপকরন প্রদান করা হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে বিশেষ সচিব জানান, পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে মুখ্যমন্ত্রী আদর্শ গ্রাম প্রকল্পে রাজ্যের ৫৫টি গ্রামকে আদর্শ গ্রামে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ৭ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা ইতিমধ্যেই ব্যয় করা হয়েছে। আরজিএসএ প্রকল্পে পঞ্চায়েত দপ্তর ৪৪টি পঞ্চায়েত ভবন এবং ২টি ডিস্ট্রিক্ট পঞ্চায়েত রিসাের্স সেন্টার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি জানান, রাজ্যে পঞ্চায়েত দপ্তরের বিভিন্ন কাজের সাফল্যস্বরূপ কেন্দ্রীয় সরকার থেকে বিভিন্ন পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। পুরস্কারগুলির মধ্যে রয়েছে দীন দয়াল উপাধ্যায় পঞ্চায়েত স্বশক্তিকরন পুরস্কার, নানাজি দেশমুখ রাষ্ট্রীয় গৌরব গ্রামসভা পুরস্কার, চাইল্ড ফ্রেন্ডলি গ্রাম পঞ্চায়েত পুরস্কার এবং গ্রাম পঞ্চায়েত ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান অ্যাওয়ার্ড। এছাড়া পঞ্চায়েত দপ্তর ২০ ১৮ এবং ২০২২ সালে মােট দুইবার ইপঞ্চায়েত পুরস্কারও লাভ করেছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে গ্রামােন্নয়ন দপ্তরের সাফল্য তুলে ধরে বিশেষ সচিব জানান, ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত গ্রামােন্নয়ন দপ্তরের মাধ্যমে মােট ৫,৩৩০টি কর্মসূচি রূপায়িত হয়েছে। এরমধ্যে এমজিএন রেগায় ২,৪৬৮টি কর্মসূচি ও অন্যান্য প্রকল্পে ২,৮৬২টি কর্মসূচি রূপায়িত হয়েছে। এতে মােট ব্যয় হয়েছে ৬৭০. ১৮৬ কোটি টাকা। এছাড়াও গ্রামােন্নয়ন দপ্তরের মাধ্যমে বর্তমানে মােট ১,৮৯৯টি কর্মসূচি রূপায়ণের কাজ চলছে। তিনি জানান, গ্রামােন্নয়ন দপ্তরের কাজের গতি আনতে এবং তদারকির উদ্দেশ্যে রাজ্যে আরও ২৩টি আরডি সাবডিভিশন অফিস চালু করা হয়েছে।