Hare to Whatsapp
কালোবাজারী বন্ধে ব্যবসায়ীরা স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসুক চায় সি পি এম
By Our Correspondent
আগরতলা, ২৫ , : করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের প্রচেষ্টায় রাজ্য থেকে মহকুমা স্তর পর্যন্ত সমস্ত সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড রাখা, রোগ নির্নয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পর্যাপ্ত কিট সংগ্রহ করে আনা, সমস্ত নাগরিককে বিনামূল্যে মাস্ক সরবরাহ, বসবাসের এলাকা সহ দোকান-বাজার ইত্যাদি স্থানকে দূষণমুক্ত রাখার ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি সরকারি ও আধা সরকারি কর্মী ব্যতিরেকে সমস্ত রেশন কার্ড হোল্ডারকে বিনামূল্যে এক মাসের রেশন সামগ্রী সরবরাহ, শ্রমজীবী ও অন্যান্য গরীব মানুষ যারা দৈনিক বা সাপ্তাহিক উপার্জনের ওপর নির্ভর তাদের পরিবারকে এককালীন পাঁচ হাজার টাকা দেয়া, সমস্ত অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দামস্তর স্থিতিশীল রাখা ও মজুতদারী বন্ধে কঠোর নজরদারী রাখার জন্য ২২ মার্চ সি পি আই(এম) এর পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছিল।
২৩ মার্চ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সমগ্র রাজ্য .৩১ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করে কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে, অন্ত্যোদয় পরিবার ও অগ্রাধিকার প্রাপ্ত (প্রায়োরিটি গ্রুপ)-কে বিনামূল্যে দু’সপ্তাহের রেশন দেয়া, সামাজিক পেনশন প্রাপকদের সু’মাসের ভাতা একসঙ্গে দেয়া, এম জি এন রেগা প্রকল্পে ১০ দিনের কাজ, টুয়েপ প্রকল্পের জন্য ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ ইত্যাদি।
রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে সি পি আই(এম) ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর প্রস্তাব হল- সরকারী হাসপাতালগুলীতে স্বাস্থ্য পরিষেবা শক্তিশালী করতে প্রয়োজনে অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের সাময়িক সময়ের জন্য নিযুক্ত করার বিষয় বিবেচনা করা হোক।
সরকারের প্রস্তাবে দৈনিক ও সাপ্তাহিক উপার্জনের ওপর নির্ভর শ্রমজীবী ও গরীব মানুষকে আর্থিক সাহায্যের কোন উল্লেখ নেই। অথচ লকডাউনের ফলে তারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। গরীব অংশের মানুষ যাতে অত্যাবশ্যকীয় পন্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে পারেন তার জন্য তাদের নগদ আর্থিক সাহায্য দেয়া হোক। রাজ্যের ৫৮ টি ব্লক এবং পুর ও নগর সংস্থার মাধ্যমে গরীব পরিবারগুলোকে আর্থিক অনুদান দেয়া হোক।
গত দু’তিন দিনেই সবজি সহ প্রায় সমস্ত অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের চড়া হারে বেড়ে গেছে। এসব পণ্যের মজুতদারীও শুরু হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের জোগান নিশ্চিত করা, দামস্তর স্থিতিশীল রাখা এবং মজুতদারী বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হোক।
সি পি আই (এম) ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলোর দৃষ্ট আকর্ষণ করে এক বিবৃতিতে বলেছে- অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অতি মুনাফার ঝোঁক নিবৃত্ত করা এবং মজুতদারী বন্ধে তারা যেন স্বেচ্ছায় ভূমিকা গ্রহণ করেন।