Share Whatsapp

রাজ্যের প্রত্যেকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারে রূপান্তরের কাজ চলছে : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, অক্টোম্বর ১৬, : রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে সরকার নিরন্তর প্রয়াস জারি রেখেছে। রাজ্যের অভ্যন্তরেই সমস্ত ধরনের উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য পরিকাঠামােগুলির উন্নয়নে সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। রাজ্যের প্রত্যেকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারে রূপান্তরের কাজ চলছে। ১৫অক্টবর আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ২ নং হলে আয়ুষ্মন ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরােগ্য যােজনার চতুর্থ বর্ষপূর্তি এবং আয়ুষ্মন ভারত ডিজিটাল মিশনের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়ােজিত রাজ্যভিত্তিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা) মানিক সাহা। তিনি বলেন, আয়ুষ্মন ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরােগ্য যােজনা সারা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম একটি বৃহৎ স্বাস্থ্যবীমা প্রকল্প। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি বিশ্বের দরবারে প্রশংসিত হয়েছেন। এই প্রকল্পে যােগ্য সুবিধাভােগী পরিবারকে চিকিৎসার জন্য বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্যাশলেস সহায়তা প্রদান করা হয়, যা আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর মানুষের জন্য চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে অনেকটাই স্বস্তি নিয়ে এসেছে।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে ত্রিপুরা অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই। ভালাে পরিষেবার জন্য চিকিৎসক এবং রােগীর মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠা অত্যন্ত জরুরি। সেই সঙ্গে চিকিৎসকদের উপর রােগী ও তার পরিজনদের আস্থা রাখতে হবে। বিশ্বাস রাখতে হবে তাদের চিকিৎসা পরিষেবার উপর। পাশাপাশি হাসপাতালে আসা রােগী ও তার পরিজনদের সাথে ভালাে ব্যবহার করতে হবে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজটিকে রিমস বা নিগ্রিমসের মতাে করে মানােন্নয়ন করা, এইমস হাসপাতাল গড়া, ডেন্টাল কলেজ স্থাপনের বিষয়ে সরকারের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি তাঁর ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব ও সুস্থ কৈশাের অভিযান কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে আশাকর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে উন্নত স্বাস্থ্য পরিকাঠামাে গড়ে তােলার বিষয়ে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। আইজিএম এবং এজিএমসি হাসপাতালে স্থাপন করা হয়েছে অক্সিজেন প্ল্যান্ট, যা উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে সর্ববৃহৎ। মহিলা ক্ষমতায়নে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কেও মুখ্যমন্ত্রী এদিন তার বক্তব্যে তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে মুখ্যসচিব জে কে সিনহা সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত সরকারের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মসূচিগুলির সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন গুয়াহাটিস্থিত রিজিওনাল রিসাের্স সেন্টারের অধিকর্তা ডা. অশােক রায়। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের সচিব ডা. দেবাশিস বসু, রাজ্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সমিতির সদস্য সচিব ডা. কমল রিয়াং।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা স্বাস্থ্য সুরক্ষা সমিতির মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক শুভেন্দু দেববর্মা। ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন পরিবার কল্যাণ ও রােগ প্রতিরােধক দপ্তরের অধিকর্তা ডা. রাধা দেববর্মা। অনুষ্ঠানে আয়ুষ্মন ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরােগ্য যােজনার সাফল্যের এবং আয়ুষ্মন ভারত ডিজিটাল মিশনের উপর একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানে আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরােগ্য যােজনায় উপকৃত সুবিধাভােগীদের সাথে মতবিনিময় করেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের লােগাের উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরােগ্য যােজনায় জেলাস্তরে সফল বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন জেলার ডিস্ট্রিক্ট প্রােগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সহ এই যােজনায় আওতাভুক্ত সুবিধাভােগীদের সংবর্ধিত করা হয়। অনুষ্ঠানে রাজ্যে আয়ুষ্মন ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরােগ্য যােজনা বাস্তবায়নে শ্রেষ্ঠ প্রকল্প রূপায়ণকারী জেলা, সর্বাধিক আয়ুষ্মন কার্ড ইস্য, রােগীদের হাসপাতালে ভর্তি করেছেন এমন আরােগ্য মিত্র ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্যের নিরিখে পুরস্কার প্রদান করা হয়। তাছাড়া আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল মিশনের অধীনে সর্বাধিক আভা কার্ড ইস্য, ন্যাশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স স্ট্যান্ডার্ড, লক্ষ্য কর্মসূচির সাফল্যের নিরিখে রাজ্যের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকেও পুরস্কৃত করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিগণ তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.