Hare to Whatsapp
বিধানসভা ভোটের মুখে ল' ইউনিভার্সিটি, ত্রিপল আইটি, এম এল এ-দের আবাসন সহ সাতটির বেশী প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করানো হল রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, অক্টোম্বর ১৩, : বুধবার আগরতলা রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে ভার্চুয়াল মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু। 12 অক্টোবর সকালে তিনি দুই দিনের জন্য রাজ্যে এসেছেন। তার হাত ধরে যেকটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে - ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স এলাকায় বিধায়ক আবাসের উদ্বোধন। যদিও এই বিধায়ক আবাসনের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি।
তাছাড়া মুনপুই থেকে দামছড়া পর্যন্ত সড়কের উন্নয়ন, যতনবাড়ি থেকে মন্দিরঘাট ভায়া তীর্থমুখ সড়কের উন্নয়ন, পুষ্পবন্ত প্যালেসে মহারাজা বীরেন্দ্র কিশোর মানিক্য এর নামে মিউজিয়াম ও কালচারাল সেন্টার, দরবার হলের শিল্যান্যাস করানো হয়েছে রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে।
একই সাথে গুর্খাবস্তিতে মাল্টি স্টোরিড বিল্ডিংয়ের শিল্যান্যাস, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ৬ টি হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, ৯টি ১০০ শয্যা বিশিষ্ট বয়েজ এন্ড গার্লস হোস্টেলের শিল্যান্যাস করানো হয়েছে রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে।
কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ IIIT (Indian Institute of Information & Technology), আগরতলা, এর শিল্যান্যাস করানো হয়েছে। মোহনপুরের খোয়াই চৌমুহনীর কাছে ত্রিপল আইটি - র নতুন বিল্ডিংটি হবার কথা রয়েছে। নড়শিংগড়ে নেশনেল ল ইউনিভার্সিটির শিলান্যাস করলেন। তার পাশেই উদ্বোধন করেন ত্রিপুরা জুডিশিয়েল একাডেমির নতুন ভবনের। এয়ারপোর্ট, রবীন্দ্র ভবন, টাউন হল, লিচুবাগানে এলবার্ট এক্কা পার্ক, বামুটিয়াতে চা বাগানের অনুষ্ঠান সহ
আজকের এই অনুষ্ঠান গুলির প্রতিটিতেই উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ও সাংসদ তথা কেন্দ্রের মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে কোন অনুষ্ঠানেই দেখা যায়নি। মন্ত্রি রতন লাল নাথ, শান্তনা চাকমা, প্রনজিত সিংহ রায়, রামপদ জমাতিয়া, রামপ্রসাদ পাল, মনোজ দেব, সাংসদ রেবতি ত্রিপুরা, স্পিকার রতন চক্রবর্তী, পুরপ্রধান দীপক মজুমদারকে অন্যান্য অনুষ্ঠান গুলিতে দেখা যায়নি। টাউন হল-এর অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভার সব সদস্য ও শাসক দলের বিধায়কদের দেখা গেলেও বিরোধী দলের বিধায়কদের কাউকেই দেখা যায়নি। রাজ্যে আইনের শাসন নেই অভিযোগ করে সিপিএম আগেই রাষ্ট্রপতির অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তাই তারা যাননি।