Hare to Whatsapp
ফ্রি রেশন, রেগার বকেয়া মজুরী, ভাতার টাকা আগাম প্রদানের ঘোষনা মুখ্যমন্ত্রীর
By Our Correspondent
আগরতলা, মার্চ ২৩, : করোনা মোকাবিলায় আগামীকাল ২৪ মার্চ দুপুর ২টা থেকে ৩১ মার্চ সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত রাজ্যে কমপ্লিট লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব দেব আজ রাতে এই ঘোষনা দিয়ে সবাইকে এই কটা দিন প্রশাসনের সাথে সহযোগিতা করতে অনুরোধ করেছেন।
পাশাপাশি তিনি রাজ্যের সর্বস্তরের গরীব মানুষের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে তাদের জন্য কিছু বিশেষ ও আগাম রেশন সামগ্রী প্রদানের ঘোষনা দেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ত্রিপুরার বর্ডার এলাকায় কোনভাবেই কোন বাংলাদেশীকে আসতে দেওয়া হবে না। আগামী এক মাসের জন্যে বর্ডার এলাকায় কার্ফু বলবত থাকবে। যদি কেউ কোন বাংলাদেশীর উপস্থিতির তথ্য জেনেও পুলিশ বা প্রশাসনকে না জানান তাহলে ঐ ব্যাক্তি বা পরিবারের বিরুদ্বে কঠোর আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। এব্যাপারে স্থানীয় প্রধান উপপ্রধান এবং পুলিশকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত ফ্রি রেশনিং এর ব্যবস্থা করা হবে গ্রামের গরীব মানুষের জন্যে। এক্ষেত্রে ১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত প্রায়োরেটি ও অন্তোদয় যোজনা ৫ লাখ ৮৬ হাজার রেশন কার্ড হোল্ডারদের ১৫ দিনের জন্য আগাম রেশন সামগ্রী প্রদান করা হবে। যারা সামাজিক ভাতা তাদেরকে এপ্রিল এবং মে মাসের ভাতার টাকা আগাম দেওয়া হবে। উজ্জ্বলা যোজনায় যারা গ্যাসের কানেকশন পেয়েছেন তাদের গ্যাসের সিলিন্ডার এর টাকা আগাম দিতে কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। রেগার শ্রমিকদের মজুরীর ৭৩ কোটি টাকা বকেয়ে রয়েছে। এই টাকা অতিশীঘ্রই রিলীজ করে কেন্দ্রে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। শিক্ষাদপ্তরের মাধ্যমে স্কুলের প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্যেও তাদের ১৫ দিনের মিড ডে মিলের রেশন সামগ্রী আগাম বিতরণ করা হবে।
স্বাস্থ্য কর্মীদের চিকিতসা পরিষেবা দিতে গিয়ে কোন ক্ষতি হলে তাদেরকে ৪ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
রাজ্যে চাল, ডাল, সরিষার তেল, পেয়াজ, চিনি, লবন ইত্যাদি সব নিত্যপণ্য সামগ্রীরই পর্যাপ্ত পরিমানে মজুত রয়েছে। রাজ্য সরকারের রেশনশপ গুলিতেও পর্যাপ্ত স্টক রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে সব কিছুতেই তিন মাসের স্টক রয়েছে। পরবর্তী আরও দুই মাসের নিত্যপন্য সামগ্রীর স্টক করার ব্যবস্থা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, সরকারি কর্মচারীদের জন্য রোস্টার প্রথায় সবাইকে কাজ করতে হবে। ব্যাঙ্ক, এটিএম, মালপরিবাহী যানবাহন সহ জরুরী সব পরিষেবাই চালু থাকবে। কাউকে তাই পেনিক হবার কোন প্রয়োজন নেই। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ফল, সব্জী, মাছ, মাংস, মুদির দোকান সব কিছুই যথারীতি খোলা থাকবে। বিদুত, এম্বুলেন্স, আইটি সার্ভিস, ব্যাঙ্ক, এটিএম খোলা থাকবে। বন্ধ থাকবে বিউটি পার্লার, জুতার দোকান, কাপড়ের দোকান এমন সব দোকান যেগুলি খুব বেশী জরুরী নয়। জন পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী সবার প্রতি বিনিত অনুরোধ রেখেছেন, বাড়ী থেকে যেন কেউ বিনা প্রয়োজনে না বের হন। বের হলেও যেন একজনের সাথে আরেকজন দুরত্ব বজায় রাখেন। এটা পালন না করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী দৃড় অভিমত ব্যক্ত করেন
আজ লক ডাউনের খবর সন্ধ্যায় ছড়িয়ে পড়তেই খোলাবাজারে জিনিস পত্রের কালোবাজারী শুরু হয়ে যায়। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব ব্যবসায়ীরা এসব করছেন সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে কেউ অভিযোগ জানালে প্রয়োজনে সরকার এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্বে দেশদ্রোহীতার মামলা চালাবে।