Hare to Whatsapp
আগামী ৩ বছরের মধ্যে রাজ্যের প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও এডিসি ভিলেজকে ওডিএফ প্লাস করা হবে : পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধি মন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ২১, : আগামী ৩ বছরের মধ্যে রাজ্যের প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও এডিসি ভিলেজকে ওডিএফ প্লাস অর্থাৎ কঠিন ও তরল বর্জ্যমুক্ত করা হবে। এজন্য জনপ্রতিনিধি থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বচ্ছতা বিষয়ক সচেতনতা গড়ে তােলা আবশ্যক। ২০ সেপ্টেম্বর আগরতলা টাউন হলে পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধি দপ্তরের উদ্যোগে আয়ােজিত স্বচ্ছ ভারত মিশন-গ্রামীণ প্রকল্পে স্বচ্ছতা পাখােয়াড়া ফেজ-টু’র রাজ্যভিত্তিক অনুষ্ঠানের সূচনা করে একথা বলেন পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। আজকের এই কর্মসূচিতে জিলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েত ও ভিলেজ কমিটি থেকে বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে স্বচ্ছতা পাখােয়াড়া ফেজ-টু কর্মসূচির সূচনা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ওডিএফ ঘােষিত অঞ্চলগুলিতে স্বচ্ছতাকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যাওয়া। এরজন্য শৌচাগার, সামাজিক শৌচাগার নির্মাণের পাশাপাশি কঠিন ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কিচেন গার্ডেন নির্মাণ, নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতিকরণ, ডাস্টবিন প্রদান, গােবরধন প্রকল্প চালু করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় বছরে ৪০০টি করে এবং তৃতীয় বছরে বাকি ভিলেজ কমিটি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত করা হবে। তিনি বলেন, স্বচ্ছতা ও নির্মল পরিবেশকে ভিত্তি করে রাজ্যে আদর্শ গ্রাম গঠন করতে হবে। নিরােগ সমাজ গঠনে বিশুদ্ধ পানীয়জলের ব্যবহারের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধিতেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। সেজন্য কঠিন কিংবা তরল যে কোনও ধরনের বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি ২০১৪ সাল থেকেই স্বচ্ছতার উপর গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। এরফলে দেশ আজ স্বচ্ছ ভারত গঠনে অনেক ক্ষেত্রেই সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি গ্রামীণ মানুষকে কঠিন এবং তরল বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে আরও গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করার অনুরােধ জানান। তিনি বলেন, জল জীবন মিশনে প্রত্যেক বাড়িতে পানীয়জলের সংযােগ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য জাতীয় গড়কে ছাপিয়ে গেছে। কিন্তু আগামীদিনে জলের উৎস সৃষ্টি করার পাশাপাশি জল সংরক্ষণকে সমান গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, প্রতি ঘরে সুশাসন কর্মসূচিতে যােগ্য সুবিধাভােগী একজনও যাতে বাদ না পড়ে তারজন্য সকল স্তরের জনপ্রতিনিধি ও আধিকারিকদের কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধি দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে বলেন, সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সচেতনতার অভাবে বর্জ্য জল, প্লাস্টিক ইত্যাদির জন্য রাজ্যের জলাশয়, নদনদী দূষিত হওয়ার পাশাপাশি চাষের জমিগুলি অনুর্বর হয়ে পড়ছে। রাজ্যের শহরগুলির ন্যায় গ্রামগুলিতেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় স্বসহায়ক দলের মহিলাদের অংশগ্রহণ করানাে যায় কিনা সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য উপস্থিত সকলের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মুখ্য বাস্তুকার শ্যামলাল ভৌমিক। কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমিরিটাস প্রফেসর অরুণাভ মজুমদার, রামকৃষ্ণ মিশন লােকশিক্ষা পরিষদের কি রিসাের্স সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর চন্ডিচরণ দে রাজ্যে স্বচ্ছতা পাখােয়াড়া ফেজ-টু’র সফল বাস্তবায়নে কি কি করণীয় তা নিয়ে বিস্তৃত আলােচনা করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধি দপ্তরের অধিকর্তা বাস্তুকার রাজীব মজুমদার।