Hare to Whatsapp
জনকল্যাণমুখী কর্মসূচিতে প্রত্যেক জনগণকে যুক্ত করতে হবে : তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ২০, : রাজ্যের অন্তিম মানুষের কাছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলির সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযানের মূল লক্ষ্য। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এই কর্মসূচি রূপায়ণে মিশন মুডে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মচারীদের কাজ করতে হবে। ১৯ সেপ্টেম্বর জিরানীয়া ব্লকে প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযানে অনুষ্ঠিত বিকাশ সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন। সভায় তিনি বলেন, জনকল্যাণমুখী কর্মসূচিতে প্রত্যেক জনগণকে যুক্ত করতে হবে। প্রতিটি বাড়িতে পাইপলাইনে পানীয়জলের সুযােগ পৌঁছে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যােজনা-গ্রামীণ প্রকল্পে প্রকৃত সুবিধাভােগীদের বাসস্থানের সুযােগ করে দিতে হবে। সভায় উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জনপ্রতিনিধি ও সরকারি আধিকারিকদের সমন্বয়ের উপর গুরুত্ব আরােপ করেন। তিনি বলেন, প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযানের মধ্য দিয়ে কোথায় কোথায় এটি বিচ্যুতি রয়েছে সেগুলি চিহ্নিত করে দ্রুত সংশােধন করতে হবে।
সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জানান, আগামী ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর জিরানীয়ার রাণীরগাঁও কমিউনিটি হল প্রাঙ্গণে প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযানের অঙ্গ হিসেবে মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও পরিষেবার সুযােগ জনসাধারণকে দেওয়া হবে। সভায় জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন প্রতিঘরে সুশাসন অভিযান জিরানীয়া ব্লকে সফল করে তােলার জন্য সকলের সহযােগিতা কামনা করেন। সভায় জিরানীয়া ব্লকের বিডিও অনুরাগ সেন জানান, চলতি অর্থবছরে এমজিএন রেগায় এখন পর্যন্ত জিরানীয়া ব্লকে ১৮ লক্ষ ১৭ হাজার ৪৪৫ শ্রমদিবস সৃষ্টি হয়েছে। স্বচ্ছ ভারত মিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩৪১টি পরিবারকে পাকা শৌচালয় করে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যােজনা-গ্রামীণ প্রকল্পে ২ হাজার ৪৫টি পরিবারকে পাকা আবাস নির্মাণের মঞ্জুরি দেওয়া হয়েছে। সভায় জিরানীয়া কৃষি মহকুমা কার্যালয়ের প্রতিনিধি জানান, চলতি অর্থবছরে জিরানীয়া কৃষি মহকুমায় ৩ হাজার ৯৪ জন কৃষককে প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যােজনার আওতায় আনা হয়েছে। ব্লকের ১,৮৮৫ জন কৃষক কিষাণ সম্মাননিধি যােজনায় সহায়তা পাচ্ছেন। কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে ঋণ পেয়েছেন ১৬৩ জন কৃষক।
জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতি হলে অনুষ্ঠিত বিকাশ সভায় সভাপতিত্ব করেন পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান মঞ্জু দাস। উপস্থিত ছিলেন জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ, জিরানীয়া বিএসির চেয়ারম্যান শুভমণি দেববর্মা, ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত ও ভিলেজ কমিটির প্রধান, উপপ্রধান, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানগণ, মহকুমা শাসক জীবন কৃষ্ণ আচার্য, মহ পুলিশ আধিকারিক হিমাদ্রি প্রসাদ দাস ও বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগণ।