Hare to Whatsapp
মুখ্যমন্ত্রী উন্নত গােধন প্রকল্পে রাজ্যের ৭৬,৪২৬টি গাভীকে কৃত্রিম প্রজননের আওতায় আনা হয়েছে : প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের সচিব
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ১৩, : রাজ্যে দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযােগ সৃষ্টির লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী উন্নত গােধন প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্প ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত চলবে। এই প্রকল্পে ভর্তুকি বাবদ সরকার মােট ১৫ কোটি ৭২ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা ব্যয় করবে। প্রকল্প রূপায়ণের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৩ লক্ষ ১২ হাজার ডােজ হিমায়িত বীর্যের মাধ্যমে কৃত্রিম গােপ্রজনন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে আয়ােজিত সাংবাদিক সম্মেলনে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের সচিব টি কে দেবনাথ এই সংবাদ জানান। তিনি জানান, এই প্রকল্পে প্রতি ডােজ লিঙ্গ নির্ধারিত হিমায়িত বীর্যে সরকারি ভর্তুকির পরিমাণ ৫০৪ টাকা। তিনি জানান, জুলাই ২০২২ পর্যন্ত রাজ্যে এই প্রকল্পে ৭৬,৪২৬টি গাভীকে কৃত্রিম প্রজননের জন্য ১,২৯, ৯২৩টি ডােজ দেওয়া হয়েছে। জুলাই ২০২২ পর্যন্ত রাজ্যে এই প্রকল্পে ১৩,২৬৬টি স্ত্রী বাছুর জন্ম নিয়েছে। যা শতাংশের নিরিখে ৯০ শতাংশের কাছাকাছি।
সাংবাদিক সম্মেলনে সচিব আরও জানান, এই প্রকল্পের আওতায় জন্মানাে স্ত্রী। বাছুরগুলির জন্য ৫০ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে সুষম খাদ্য দিতে সরকার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এতে মােট ৫ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে। তিনি জানান, উত্তর পূর্বাঞ্চল পর্ষদ ও রাজ্য সরকারের আর্থিক সহায়তায় বহিরাজ্য থেকে ১২০টি উন্নত প্রজাতির দামড়ী বাছুর সুবিধাভােগীদের মধ্যে দেওয়া হয়েছে। আরও ১২০টি সুবিধাভােগীদের মধ্যে দেওয়া হবে। তিনি জানান, এই প্রকল্পের সুবিধা জনগণের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাপক প্রচার করা হচ্ছে দপ্তরের উদ্যোগে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ১, ১৭৮টি গ্রামে গ্রামসভা করা হয়েছে। দপ্তরের উদ্যোগে কৃত্রিম প্রজননের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি জানান, বর্তমানে রাজ্যে বাৎসরিক দুধের চাহিদা ২ লক্ষ ৫৭ হাজার ৪৮০ মেট্রিকটন। সচিব জাতীয় লাইভস্টক মিশনের অধীনে বিভিন্ন প্রকল্প কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, জাতীয় লাইভস্টক মিশনে গ্রামীণ মুরগী খামার কর্মসূচিতে ব্রডার হাউস নির্মাণের ক্ষেত্রে উদ্যোগীদের মূলধন ভর্তুকি ৫০ শতাংশ অথবা ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মূলধনের উপর ভর্তুকি পাওয়ার সংস্থান রয়েছে। ছাগল বা ভেড়ার খামার নির্মাণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মূলধনের উপর ভর্তুকির সংস্থান রয়েছে। শূকর ছানা প্রতিপালনের ক্ষেত্রে খামার নির্মাণের ক্ষেত্রে মূলধনের উপর ভর্তুকি ৫০ শতাংশ অথবা সর্বোচ্চ ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়ার সংস্থান রয়েছে। পশুখাদ্য তৈরি করার জন্য কারখানা নির্মাণের ক্ষেত্রে উদ্যোগীদের মূলধনের উপর ৫০ শতাংশ ভর্তুকি অথবা ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মূলধনের উপর ভর্তুকি পাওয়ার সংস্থান রয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন টিএলডিএ-র জেনারেল ম্যানেজার ড. অনাদি শঙ্কর ভট্টাচার্য এবং প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের উপঅধিকর্তা ড. তমাল কিশাের রায়।