Share Whatsapp

সমস্ত জনপদের মানুষের কাছে উন্নয়ন কর্মসুচির সুযোেগ পৌছে দিতে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, সেপ্টেম্বর ১০, : রাজ্যের জেলা থেকে গ্রামপঞ্চায়েত স্তরে কেন্দ্রীয় সরকারের ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা জনসাধারণের কাছে পৌছে দিতে রাজ্যে শুরু হচ্ছে প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযান। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির জন্মদিনে রাজ্যে এই অভিযানের সূচনা হবে। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে এই অভিযান চলবে। ৯ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ের ২নং কনফারেন্স হলে এই কর্মসূচি নিয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা) মানিক সাহা। সভায় উপস্থিত ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা, তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান টিংকু রায়, মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন, প্রধান মুখ্য বন সংরক্ষক কে এস শেঠি সহ বিভিন্ন দপ্তরের অধিকর্তা, সচিব ও প্রধান সচিবগণ।

সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প ও বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণে দেশের মধ্যে ত্রিপুরা প্রশংসা অর্জন করেছে। কোন কোন ক্ষেত্রে সাফল্য এসেছে একশ শতাংশ। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচির সুযােগ রজ্যের সমস্ত জনপদের মানুষের কাছে পৌছে দিতে সরকার প্রতি ঘরে সুশাসন কর্মসূচি নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই কর্মসূচি রাজ্যে মিশন মুড়ে সম্পন্ন করতে হবে। উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণে একশ শতাংশ সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই কর্মসূচি রূপায়ণে যেসমস্ত জেলা ও দপ্তর মানুষের কাছে সরকারি প্রকল্পের সুযােগ পৌছে দিতে সাফল্যের সাথে কাজ করবে তাদের পুরস্কৃত করা হবে। সভায় মুখ্যসচিব জে কে সিনহা বলেন, প্রতি ঘরে সুশাসন হচ্ছে ত্রিপুরা সরকারের এক বিশেষ অভিযান। এই অভিযানের উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণের ঘরে ঘরে উন্নয়ন পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা সমস্ত সুবিধাভােগীদের জন্য সুনিশ্চিত করা। তিনি বলেন, উৎসবের মেজাজে ও প্রশাসনের সমস্ত দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় রেখে রাজ্যে এই কর্মসূচি রূপায়ণ করতে হবে।

সভার শুরুতে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযান কর্মসূচির রূপরেখা তুলে ধরেন। সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব জানান, প্রতি ঘরে কর্মসূচিতে রাজ্যে জেলা থেকে গ্রামপঞ্চায়েতস্তরের বিকাশ সভা, জেলাস্তরে মেলা ও ক্ষেত্রীয়স্তরে শিবিরের আয়ােজন করা হবে। এই অভিযানে প্রধানমন্ত্রী আবাস যােজনা, পিএম-কিষাণ, আয়ুষ্মান ভারত, প্রধানমন্ত্রী জীবনজ্যোতি বীমা যােজনা, ভারত নেট প্রকল্প, সয়েল হেলথ কার্ড, কিষাণ ক্রেডিট কার্ড, অটল পেনশন যােজনা, মুখ্যমন্ত্রী যুব যােগাযােগ যােজনা, স্বনিধি প্রকল্পে সমস্ত সুবিধাভােগীদের সুবিধা সুনিশ্চিত করা হবে। তাছাড়াও ক্ষেত্রীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করা হবে। কৃষকদের জন্য বিশেষ বাজার নির্মাণ, কৃষক ও মৎস্যচাষিদের জন্য হিমঘর তৈরী, উন্নত সেচ ব্যবস্থার জন্য ক্যানেল তৈরী, চ্যাকডেম নির্মাণের মত পরিকাঠামাে গড়ে তােলা হবে। রাজ্যে এই অভিযান সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত করার জন্য বিভিন্ন স্তরে কমিটি গঠন করা হবে। সভায় এই অভিযানে বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে যে কর্মসূচি রূপায়িত হবে তা নিয়েও বিস্তারিত আলােচনা হয়।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.