Hare to Whatsapp
সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সাথে দিব্যাঙ্গ ছাত্রছাত্রীদের একই বিদ্যালয়ে পড়াশােনার জন্য রাজ্যে ৪টি মডেল ইনকুসিভ স্কুল চালু করা হবে : বুনিয়াদি শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ৭, : রাজ্যে চারটি মডেল ইনকুসিভ স্কুল চালু করা হবে। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী সাধারণ সুস্থ ছাত্রছাত্রীদের পাশে থেকে দিব্যাঙ্গ ছাত্রছাত্রীদের একসঙ্গে পঠন পাঠন করার উদ্দেশ্যে এই স্কুল চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে শিক্ষা দপ্তর। ৬ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বুনিয়াদি শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা চান্দনি চন্দ্রন একথা জানান। তিনি জানান, বিদ্যাজ্যোতি স্কুল প্রকল্পের আওতায় চারটি স্কুলকে মডেল ইনকুসিভ স্কুল হিসেবে চালু করার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। এই চারটি স্কুল হলাে পশ্চিম ত্রিপুরার ক্ষুদিরাম বসু ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, গােমতী জেলার কিরীট বিক্রম ইনস্টিটিউশন, খােয়াই জেলার কবি নজরুল বিদ্যাভবন এবং উত্তর ত্রিপুরা জেলার চন্দ্রপুর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়। দপ্তরের অধিকর্তা আশাব্যক্ত করেন এতে দিব্যাঙ্গ ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার মান আরও বাড়ানাে সম্ভব হবে। অধিকর্তা আরও জানান, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত বাচ্চাদের গুণগত শিক্ষার মান বাড়ানাের উদ্দেশ্যে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের সহযােগে শিক্ষা দপ্তর মিশন মুকুল প্রকল্প চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে বুনিয়াদি শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা জানান, কেন্দ্রীয় সরকার প্রাকপ্রাথমিক স্তর থেকে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের গুণগত শিক্ষার মান বাড়াতে নিপুণ ভারত প্রকল্প চালু করেছে। ত্রিপুরাতেও এই প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী পােষণ অভিযান প্রকল্পে অ্যাসপিরেশনাল ব্লকের স্কুলগুলিতে প্রাতভােজের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এতে গড়ে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি বেড়েছে।
স্কুলগুলিতে। তিনি আরও বলেন, রাজ্যের ৩০৪টি বিদ্যালয়ে ডিজিটাল লাইব্রেরি চালু করা হবে। তিনি জানান, আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স ল্যাব রাজ্যের দুটি স্কুল রয়েছে। একটি হলাে বিলােনীয়া ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল এবং আগরতলার শিশুবিহার স্কুল। আরও বাড়ানাের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। অধিকর্তা জানান, বিদ্যাজ্যোতি স্কুল প্রকল্পে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের জন্য ৯টি হস্টেল তৈরি করা হবে। তিনি জানান, বিদ্যাজ্যোতি স্কুলগুলিতে এবছর এখন পর্যন্ত ২০ হাজার ৩৩৭ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদনপত্র দাখিল করেছে। ভর্তির প্রক্রিয়া চলছে। তিনি জানান, প্রাথমিকস্তরে ড্রপ আউটের মাত্রা ছিল ৪.২২ শতাংশ। যা বর্তমানে কমে হয়েছে ১.০৪ শতাংশ।
সাংবাদিক সম্মেলনে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা এন সি শর্মা জানান, আগরতলার ইন্দ্রনগরে একটি ইংলিশ মিডিয়াম ডিগ্রি কলেজ চালু করা হবে। ছাত্রছাত্রীরা অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। তিনি আরও জানান, উচ্চশিক্ষা দপ্তর এনএসডিসি এবং দক্ষতা উন্নয়ন দপ্তরের সহযােগে বিভিন্ন কলেজে ছাত্রছাত্রীদের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ১১টি ডিগ্রি কলেজে এই কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা দপ্তরের সচিব শরদিন্দু চৌধুরী।