Hare to Whatsapp
মুখ্যমন্ত্রী চা শ্রমিক কল্যাণ প্রকল্পে চা শ্রমিকদের জমির অধিকার দিয়েছে বর্তমান সরকার : শিক্ষামন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ৪, : মুখ্যমন্ত্রী চা শ্রমিক কল্যাণ প্রকল্পের মাধ্যমে শ্রমিকদের জমির অধিকার দিয়েছে এই সরকার। কারণ জমির অধিকারই হচ্ছে সবচেয়ে বড় অধিকার। ৩ সেপ্টেম্বর ভারতীয় টি বাের্ডের সহায়তায় ত্রিপুরা টি বাের্ডের উদ্যোগে আয়ােজিত ‘রান ফর টি’-এর উদ্বোধন করে একথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ। আজকের এই কর্মসূচিতে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব অভিষেক চন্দ্রা, ভারতীয় টি বাের্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চল জোনাল অফিসের এক্সিকিউটিভ অফিসার অরুনিতা ফুকন যাদব, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগণ অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, ‘রান ফর টি’ বীরচন্দ্র স্টেট সেন্ট্রাল লাইব্রেরীর পার্শ্ববর্তী টি কর্ণার থেকে শুরু হয়ে টিআরটিসি, তুলসীবতী স্কুল, কামান চৌমুহনী, পােস্ট অফিস চৌমুহনী হয়ে আবার টি কর্ণারে এসে মিলিত হয়।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ আরও বলেন, গরিব অংশের মানুষের সার্বিক বিকাশই এই সরকারের লক্ষ্য। চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি করে রাজ্যের অর্থনীতিকে মজবুত করার লক্ষ্যে কাজ করছে ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগম। রাজ্যের চা শ্রমিকদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী চা শ্রমিক কল্যাণ প্রকল্প এক ইতিবাচক পদক্ষেপ। এই প্রকল্পে চা শ্রমিকরা নিজস্ব বসত জমির অধিকার সহ পানীয়জল, বিদ্যুৎ, শৌচালয়, প্রধানমন্ত্রী আবাস যােজনায় ঘরের সুবিধা পাবে। ত্রিপুরা চাকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে চায়ের লােগাে তৈরি, ত্রিপুরেশ্বরী নামে ব্র্যান্ডিং করার পাশাপাশি চায়ের নিলাম বাজার গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, রাজন্য আমল থেকেই রাজ্যে চা চাষ শুরু হয়। চা উৎপাদনে ত্রিপুরা দেশে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। ত্রিপুরার চা কে সহজলভ্য করার জন্য সরকার রেশনিং ব্যবস্থার মাধ্যমে সুলভ মূল্যে জনগণের কাছে চা পৌঁছে দিচ্ছে। আলােচনায় অংশ নিয়ে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, রাজ্যে গুণগত | মান সম্পন্ন চা উৎপাদিত হচ্ছে। ত্রিপুরায় চা শিল্প ও শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করছে সরকার এবং চা উন্নয়ন নিগম।