Share Whatsapp

আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে ২০৫টি বিদ্যালয়ে বৃত্তিমূলক পাঠক্রম চালু করা হয়েছে : শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, ৩ , : গুণগত শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে বর্তমান রাজ্য সরকার বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই সমস্ত পদক্ষেপের কিছু সুফল ইতিমধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। আগামী দিনগুলিতে আরও সুফল পাওয়া যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ। ২ সেপ্টেম্বর মহাকরণের ২ নং সভাকক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ রাজ্য সরকারের গুণগত শিক্ষার উন্নতির জন্য গৃহীত পদক্ষেপসমূহ বিস্তারিত উল্লেখ করেন। গৃহীত পদক্ষেপসমূহের মধ্যে অন্যতম সুপার-৩০ প্রকল্পে রাজস্থানের কোটায় একটি বেসরকারি কোচিং সেন্টারে মেডিকেল এবং ইঞ্জিনীয়ারিংয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য পাঠরত রাজ্যের ৩০জন ছাত্রছাত্রীর সাথে শিক্ষামন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথাবর্তা বলেন। তিনি ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনা, থাকা খাওয়া ও পঠন পাঠন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে খোজ খবর নেন। সেই সময় ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকগণও উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া এই বছরে ভর্তির জন্য নির্বাচিত ছাত্রছাত্রীরাও ভিডিও কনফারেন্সের সময় উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষামন্ত্রী শ্রীনাথ সাংবাদিকদের জানান, এই সরকার গঠিত হওয়ার পর গুণগত শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত এন সি আর টি সিলেবাস চালু করেছে, ৩, ১২৬ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে ২০৫টি বিদ্যালয়ে বৃত্তিমূলক পাঠক্রম চালু করা হয়েছে। এছাড়াও তিনি জানান, ২০২০-২১ সাল থেকে সুপার-৩০ প্রকল্পে গরীব পরিবারের ছেলেমেয়েদের মেডিকেল এবং ইঞ্জিনীয়ারিং-এ ভর্তির জন্য বিশেষ কোচিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্যে সরকার বহিরাজ্যের নামী কোচিং সেন্টারে ৩০ জন ছাত্রছাত্রীর ভর্তি এবং থাকা খাওয়ার খরচ বহন করছে। এরজন্য প্রতি ব্যাচের ছাত্রছাত্রীদের জন্য রাজ্যে সরকারের খরচ হচ্ছে ১.৫০ কোটি টাকা। সুপার-৩০ সিলেকসন টেস্টের মাধ্যমে দুঃস্থ পরিবারের মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা এই প্রকল্পে সুযােগ পাচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, রাজ্যে নতুন দিশা প্রকল্প চালু হয়েছে। এরফলে ৮৪ শতাংশ ছাত্রছাত্রী বর্তমানে শ্রেণী উপযুক্ত হয়েছে। যা আগে ছিল ৪৩ শতাংশ। বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ে মেধাবৃত্তি চালু করা হয়েছে। ১০০টি স্কুলকে বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।এই প্রকল্পে পরিকাঠামােগত উন্নতিতে ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। দিব্যাঙ্গজন ছাত্রছাত্রীদের জন্য ৪০০টি স্কুলে সক্ষম ত্রিপুরা প্রকল্প চালু করার পাশাপাশি ৪টি মাদ্রাসাকে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে রূপান্তরিত করা হয়েছে। ৮১২টি বিদ্যালয়ে স্মার্ট ক্লাস চালু রয়েছে। এবং ৩০৫টি বিদ্যালয়ে ডিজিটাল লাইব্রেরী চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও অনেক পদক্ষেপ গৃহীত এবং কার্যকর হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল ট্রিপল আইটি চালু, ফরেনসিক সায়েন্স ইউনির্ভাসিটি চালু এবং ‘লক্ষ্য স্কিম চালু ইত্যাদি৷ ১১টি কলেজে বৃত্তিমূলক কোর্স চালু করা হয়েছে, কলেজে প্লেসমেন্ট সেল চালু করা হয়েছে। এবছর থেকেই জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় চালু হচ্ছে। বলে শিক্ষামন্ত্রী শ্রী নাথ জানিয়েছেন।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.