Hare to Whatsapp
অর্থনৈতিক বিকাশে রাজ্যে উৎপাদিত পণ্যসামগ্রীর রপ্তানি বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিতে হবে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ৩, : রাজ্যে শিল্প স্থাপনের জন্য যে অনুকূল পরিবেশ রয়েছে তা আরও ভালােভাবে কাজে লাগাতে হবে। রাজ্যের অর্থনৈতিক বিকাশে রাজ্যে উৎপাদিত পণ্যসামগ্রীর রপ্তানি বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিতে হবে শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরকে। ২ সেপ্টেম্বর বােধজংনগর শিল্প নগরীতে উদ্যোগী ভবন ও ত্রিপুরা ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসােসিয়েশনের পঞ্চম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী শিল্পের বিকাশ ও সম্প্রসারণে রাজ্যে শান্তির পরিবেশ বজায় রাখার উপরও গুরুত্ব আরােপ করেন। তিনি বলেন, শান্তির পরিবেশ বজায় থাকলেই দেশ-বিদেশের শিল্প উদ্যোগীরা রাজ্যে শিল্প স্থাপনে উৎসাহিত হবেন। অনুষ্ঠান শুরুর আগে মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য অতিথিগণ ত্রিপুরা ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসােসিয়েশনের উদ্যোগে আয়ােজিত রক্তদান শিবির এবং কোভিড বুস্টার ডােজ সেন্টারটি পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান টিংকু রায়, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের অধিকর্তা স্বপ্ন দেবনাথ, ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনার আরিফ মােহাম্মদ এবং ত্রিপুরা ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসােসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রাণগােপাল সাহা।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যে শিল্প স্থাপনে যােগাযােগ সহ বিভিন্ন পরিকাঠামাের ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। ফলে বহিরাজ্যের শিল্প উদ্যোগীগণ রাজ্যে শিল্প স্থাপনে আগ্রহী হচ্ছেন। রাজ্য সরকারও তাদের বিভিন্ন সুযােগ সুবিধা প্রদান করছে। রাজ্যে বিগত সরকারের সময়ে শিল্পের বিকাশে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আন্দোলনের নামে শিল্প ব্যবস্থাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার সবকা সাথ, সবকা বিশ্বাস ও সবকা প্রয়াসের মূলমন্ত্রকে পাথেয় করেই রাজ্যের সার্বিক বিকাশে কাজ করছে। ত্রিপুরায় উৎপাদিত পণ্য বাংলাদেশে যাতে বেশি করে রপ্তানি করা যায় সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনারের প্রতি অনুরােধ জানান। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বােধজংনগর শিল্প নগরীর উন্নয়নে স্থানীয় জনগণকেও পাশে রাখতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসােসিয়েশনের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী বলেন, রাজ্য সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর বােধজংনগরে শিল্পের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। শিল্পের উন্নয়নে শিল্প। উদ্যোগীদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার মতবিনিময় সভাও করা হয়েছে। এই মতবিনিময় সভায় যে সমস্ত সমস্যার কথা উঠে আসত তা দ্রুত সমাধানের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান টিংকু রায় বলেন, বর্তমানে রাজ্যে শিল্প বান্ধব সরকার রয়েছে। এই সরকারের সাড়ে চার বছরের সময়কালে অনেকগুলি শিল্প ইউনিট স্থাপিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বােধজংনগর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন শিল্প ইউনিটে কর্মরত শ্রমিকদের সন্তানদের মধ্যে যারা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় সাফল্য পেয়েছে তাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সংবর্ধনাস্বরূপ তাদের হাতে স্মারক উপহার, অভিজ্ঞানপত্র ও চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী সহ অনুষ্ঠানের অন্যান্য অতিথিগণ।