Hare to Whatsapp

রাজন্য শাসিত ত্রিপুরার উন্নয়নে মহারাজাদের প্রশংসনীয় ভূমিকা ছিল : তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, আগষ্ট ২১, : মহারাজা বীর বিক্রম কিশাের মাণিক্যের অবদানের জন্যই আমরা জাতি জনজাতি অংশের মানুষ ত্রিপুরাতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারছি। একটা সময় ছিল রাজ্যের উন্নয়নে ত্রিপুরার রাজাদের ভূমিকা অস্বীকার করে ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা হয়েছিল। রাজন্য শাসিত ত্রিপুরার উন্নয়নে মহারাজাদের প্রশংসনীয় ভূমিকা ছিল। বর্তমানে সরকার ত্রিপুরার উন্নয়নে রাজাদের ভূমিকা জনসমক্ষে এনে সব অংশের মানুষকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই কাজ করছে। ২০ আগস্ট সন্ধ্যায় আগরতলা প্রেস ক্লাবে ত্রিপুরা ডিজিটাল মিডিয়া সােসাইটি আয়ােজিত আলােচনাসভার উদ্বোধন করে একথা বলেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। আলােচনার মূল বিষয় ছিল রাজন্য ত্রিপুরা ও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম।

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. রুমা ভট্টাচার্য। তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং তার সঙ্গে রাজন্য ত্রিপুরার নিবিড় যােগাযােগের বিষয়ে আলােচনা করেন। আলােচনায় অংশ নিয়ে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, ড. রুমা ভট্টাচার্য এই বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁর গবেষণা পুস্তিকা আকারে প্রকাশিত হলে আমরা এই বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পারব। পরবর্তী প্রজন্মও উপকৃত হবে। তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, মহারাজা বীর বিক্রম ইউরােপ ভ্রমণে গিয়ে সেখানকার শিক্ষা, সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য পরিষেবার বিষয়গুলি অনুধাবন করেছিলেন এবং ত্রিপুরার উন্নয়নে কাজে লাগিয়ে ছিলেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন গবেষণার মাধ্যমে স্বাধীনতা আন্দোলনে ত্রিপুরার মানুষের অবদান প্রকাশিত হলে দেশের অন্যান্য মনিষীদের সঙ্গে রাজ্যের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নামও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাজ্যের প্রচার মাধ্যমের বিষয়ে আলােচনা করতে গিয়ে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, মিডিয়াও একটি শিল্প। এই শিল্পেরও উন্নতি করতে হবে। সাংবাদিক হিসেবে কেউ যদি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান বর্তমান সরকার তাকে উৎসাহিত করবে। এরজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমরা চাই এই রাজ্যের সাংবাদিকরাও যেন সর্বভারতীয় পর্যায়ের সাংবাদিকদের সমমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, আমরা চাই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ। তাতে রাজ্যের জনগণ উপকৃত হবেন। তা রাজ্যের পক্ষেও মঙ্গলজনক হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস, প্রেস ক্লাবের সম্পাদক প্রণব সরকার, বরিষ্ঠ সাংবাদিক জয়ন্ত ভট্টাচার্য প্রমুখ। এ উপলক্ষে বসে আঁকো প্রতিযােগিতার বিজয়ীদের অতিথিগণ পুরস্কৃত করেন।




You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.