হাওড়া নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি করে আগরতলা শহরের বন্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, মার্চ ২৮, : হাওড়া নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি করে আগরতলা শহরের বন্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ফেন্সিং থেকে চন্দ্রপুরের দেবতাছড়া সেতু পর্যন্ত ৯.৩৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট হাওড়া বাঁধের বন্যা প্রাচীর, সুরক্ষা বৃদ্ধি এবং শক্তিশালীকরণ ইত্যাদি প্রদান করে হাওড়া নদীর বাঁধের জন্য ড্রাফট কনসেপ্ট পেপার তৈরি করা হয়েছে। ২৭ মার্চ রাজ্য বিধানসভায় বিধায়ক দীপক মজুমদারের আনা একটি দৃষ্টি আকর্ষণী নোটিশের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, তহবিলের প্রাপ্যতার উপর ২৪৮.০০ কোটি টাকার এই কাজ এপিক স্ট্যান্ডস ফর ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন (ই.পি.সি.) মোডে হাতে নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এছাড়াও হাওড়া নদীর ড্রেজিং এবং রিজ্যুভেনশনের জন্য মোট ১৪৫.৭১ কোটি টাকার একটি কনসেপ্ট পেপার ভারত সরকারের জলশক্তি মন্ত্রকের কাছে আগরতলা স্মার্টসিটি লিমিটেডের সহায়তায় ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর পাঠানো হয়েছে। এর টেকনো ইকোনমিক এপ্রাইজল এবং টেকনো ইকোনমিক ফিজিবিলিটি স্টাডিজ করা হচ্ছে এবং সম্ভাব্যতা বিবেচনা করে এটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে পূর্ত দপ্তরের জলসম্পদ বিভাগ থেকে হাওড়া নদীর গর্ভে জমাকৃত পলি, স্তুপিকৃত আবর্জনা এবং নদীর চর পরিষ্কার করার জন্য বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে, যা আগামী ৬ মাসের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, একই সঙ্গে হাওড়া নদীর জলে স্তূপিকৃত নোংরা, আবর্জনা ইত্যাদি ফেলা রোধ করার জন্য সামগ্রিক জনসচেতনতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। নদীর জলের স্বাভাবিক প্রবাহ যাতে ব্যাহত না হয় এবং নদীর জলও যাতে দূষিত না হয় সেজন্য এই জনসচেতনতা গড়ে তোলা আবশ্যিক।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে হাওড়া নদীর প্রবাহ সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হচ্ছে। বর্তমানে বৃহত্তর আগরতলা শহরের এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার পানীয়জল ও কৃষিকাজের জলের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এই নদীর জলের ব্যবহার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। তিনি বলেন, নদীর ধারে কিছু জায়গায় রাস্তা এবং বাঁধ ও নদীর আড়াআড়িভাবে সেতুর স্তম্ভ, জল সংগ্রহের জন্য বালির ব্যাগ ইত্যাদি অবস্থানের জন্য নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ পরিবর্তন হচ্ছে এবং নদীর নাব্যতাও ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে। এছাড়া প্রচুর গাছপালা কাটার কারণে বৃষ্টি তথা বন্যার জলে হাওড়া নদীর বিস্তীর্ণ অববাহিকা থেকে মাটি ক্ষয় হয়ে নদী গর্ভে জমা হওয়ার কারণে হাওড়া নদীর নাব্যতা হ্রাস হওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একই সঙ্গে হাওড়া নদীর জলধারণ ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে নদীতে পলি জমার কারণে এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে নদীগর্ভে আবর্জনার স্তূপিকরণের কারণে, যারজন্য অল্প বৃষ্টিতে মহাপ্লাবনের সৃষ্টি হয়।

আরও পড়ুন...


Post Your Comments Below

নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।

বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।

Free Download Avro Keyboard

Fields with * are mandatory





Posted comments

Till now no approved comments is available.