Hare to Whatsapp
রাজ্যে গ্রামীণ এলাকার বিকাশে সরকার গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে : উপমুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, আগষ্ট ১২, : রাজ্যে গ্রামীণ এলাকার বিকাশে রাজ্য সরকার গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। গ্রামের বিকাশ হলেই রাজ্যের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। এজন্য সরকার রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার বিকাশে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। গ্রামীণ মানুষের কাছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুযােগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ১১ আগস্ট বিশালগড় ব্লকের পূর্ব গকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিষ্ঠা দিবস ও হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচির প্রচার অভিযানের সূচনা করে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক।
পূর্ব গকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়ােজিত অনুষ্ঠানে উপমুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গ্রামীণ এলাকার বিকাশের পাশাপাশি রাজ্যে নারী ক্ষমতায়নে সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সযােগ নিয়ে গ্রামীণ এলাকার মহিলাগণ স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন। উপমুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে আগামী ১৩১৫ আগস্ট পূর্ব গকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি সফল করে তােলার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক বলেন, আজাদি কা অমৃত মহােৎসবের অঙ্গ হিসেবে পূর্ব গকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিষ্ঠা দিবস
পালন করা হচ্ছে। এই দিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের নাগরিকদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আগামী ১৩-১৫ আগস্ট হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি নিয়েছে। রাজ্যেও এই কর্মসূচি যথাযােগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হবে। দেশবাসীর মধ্যে দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় চেতনা সুদৃঢ় করতেই সরকারের এই কর্মসূচি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, সহকারি সভাধিপতি পিন্টু আইচ, ত্রিপুরা খাদি পর্ষদের চেয়ারম্যান রাজীব ভট্ট চাৰ্য্য, সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক বিশ্বশ্রী বি, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রবীণ নাগরিক সুরবালা দেবনাথ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশালগড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান ছন্দা দেববর্মা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশালগড় ব্লকের বিডিও অমিত কর্মকার। অনুষ্ঠানে অতিথিগণ সেনাবাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত ১৫ জনের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন।