Hare to Whatsapp
সাংবাদিকদের ১১ দফা দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে প্রতিটি জেলার জেলা শাসকের মাধ্যমে ডেপুটেশন
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুলাই ২৩, : ত্রিপুরা ওয়ার্কিং জার্নালিস্টস এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে শুক্রবার ২২ জুলাই রাজ্যের আটটি জেলায় জেলা শাসকের মাধ্যমে অ্যাসোসিয়েশনের জেলা কমিটি গুলির মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে সংবাদ মাধ্যম এবং সাংবাদিকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট এগারো দফা দাবির ভিত্তিতে ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে জেলাশাসকদের কাছে প্রদেয় স্মারকলিপিতে দাবি গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, কর্মরত সাংবাদিক ও অসাংবাদিক কর্মীদের বেতন-ভাতা সহ অন্যান্য স্বার্থ সুরক্ষা করতে একটি মিডিয়া পলিসি ঘোষনা করা। সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা।
সাংবাদিকদের নিয়োগ পত্র প্রদান, ইপিএফ, ই এস আই-র আওতায়া আনা এবং মাজিথিয়া ওয়েজ বোর্ডের প্রস্তাবিত বেতনক্রম কার্যকর করতে রাজ্য সরকারকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা। সরকার ঘোষিত পেনশন প্রকল্পে ৩ লক্ষ টাকা পারিবারিক আয়ের বিধি নিষেধ প্রত্যাহার করা। এক্রিডিটেশন কার্ডের বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করে মিডিয়া কর্তৃপক্ষের সার্টিফিকেট গ্রহণ করা এবং ১০ বছরের অধিক সময় কর্মরত সাংবাদিকদের পেনশনের আওতায় আনা। গণতন্ত্র রক্ষা ও শক্তিশালী করতে সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকদের অধিকার ও নিরাপত্ত নিশ্চিত করা।এক্রিডিটেশন কার্ড প্রদানে পুলিশ ভ্যারিফিকেশন বাধ্যতামূলক এবং ন্যূনতম যোগ্যতা মাধ্যমিক উত্তীর্ণ করা। জেলা ও মহকুমা স্তরের সাংবাদিকদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রদান করা। সাংবাদিকদের জন্য অবিলম্বে স্বাস্থ্য বীমা চালু করা।
নীতি নির্ধারক কমিটি গুলিতে ডব্লিউজেএ-এর প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা।গৃহহীন সাংবাদিকদের জন্য আবাসন প্রকল্প ঘোষনা করা। জেলা ও মহকুমা স্তরে কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ঘর বরাদ্দ করা।প্রেস স্টিকারের অপব্যবহার বন্ধ করতে সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের জন্য তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরকে একটি প্রেস স্টিকার চালু করা। বন্ধ হয়ে থাকা ক্যাবল টিভি চ্যানেল গুলো পুনরায় চালু করতে সরকারকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা।
এদিন পশ্চিম জেলার জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন প্রধানকালে প্রতিনিধি ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুনীল দেবনাথ, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা কমিটির সভাপতি তাপস ধর, সম্পাদক অরিন্দম চক্রবর্তী, সহ-সম্পাদক প্রণব ঘোষ ও বাদল চন্দ্র দাস প্রমূখ। জেলাশাসক সাংবাদিকদের সমস্যা গুলি সম্পর্কে অবহিত হয়ে এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
এছাড়া দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা, গোমতী জেলা, সিপাহী জলা জেলা, খোয়াই জেলা, ধলাই জেলা, ঊনকোটি জেলা ও উত্তর ত্রিপুরা জেলা থেকে একই দাবিতে জেলা শাসকদের কাছে ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
উত্তর ত্রিপুরা জেলায় জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন প্রদানকালে প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন সুকান্ত চক্রবর্তী, দেবাশীষ দত্ত প্রমুখ। ধলাই জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন প্রদানকালে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সৈকত দেবনাথ ও অসীম দাস। খোয়াই জেলাশাসকের কাছে এসোসিয়েশনের রাজ্য সহ সভাপতি অসিত বরণ ঘোষের নেতৃত্বে ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। সিপাহীজলা জেলায় রাজ্য কমিটির সদস্য খোকন ঘোষ ও জেলা কমিটির নেতৃত্ব ভবতোষ ঘোষের নেতৃত্বে ডেপুটেশন প্রদান করা হয়। উত্তর ত্রিপুরা জেলায় পলাশ সেন, রাজ্য কমিটির সদস্য পান্না ঘোষের নেতৃত্বে ডেপুটেশন প্রদান করা হয়।
শুক্রবার বিকেলে টিডব্লিওজেএ গোমতী জেলা কমিটির তরফে ১১ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে গোমতী জেলার জেলা শাসক র্যাভেল হেমেন্দ্র কুমারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। স্মারকলিপি প্রদানে টিডব্লিওজেএ গোমতী জেলা কমিটির সভাপতি প্রাণময় সাহা, জেলা সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর মোদক, উদয়পুর বিভাগীয় কমিটির সভাপতি দেবব্রত রুদ্র সহ অমরপুর, নূতন বাজার ও উদয়পুরের পনেরো জন সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
ত্রিপুরা ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন দক্ষিণ জেলা কমিটির উদ্যোগে এদিন বেলা সাড়ে তিনটায় ১১ দফা দাবির ভিত্তিতে দক্ষিণ জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক শংকর দেবনাথের মাধ্যমে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এর কাছে এক স্মারকলিপি দেওয়া হয়। দাবী সনদ নিয়ে জেলা শাসকের সাথে সাংবাদিকদের সৌহায্যপূর্ণ আলোচনা হয়।