Hare to Whatsapp
সহযােগিতা ও ঐক্যমতের ভিত্তিতে জিএসটি ভারতীয় অর্থনীতিকে এক সুদৃঢ় ভিত্তি দিয়েছে : উপমুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুলাই ২২, : সহযােগিতা ও ঐক্যমতের ভিত্তিতে জিএসটি ভারতীয় অর্থনীতিকে এক সদৃঢ় ভিত্তি দিয়েছে। ২০১৭ সালের ১ জুলাই রাষ্ট্রহিতে জিএসটির মতাে কঠিন ব্যবস্থাকে চালু করার ক্ষেত্রে দলমত নির্বিশেষে সকলেই এগিয়ে এসেছেন। ২১ জুলাই অর্থ দপ্তরের উদ্যোগে হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণের কনফারেন্স হলে জিএসটির ৫ বছর পূর্তি এবং আগামীর পথ ও রাজ্যের শ্রেষ্ঠ ট্যাক্স প্রদানকারী সংস্থাগুলির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন। উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা। আজকের এই অনুষ্ঠানে ওএনজিসি, গেইল, শ্যামসুন্দর জুয়েলার্স, ২ মােট ২৬টি সংস্থাকে সংবর্ধিত করা হয়। উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, কর প্রদান করা একজন নাগরিকের দায়িত্ব এই দায়িত্ব পালনের জন্য কর প্রদান ব্যবস্থাকে সরলীকরণ করতে সারা দেশে ৫ বছর পূর্বে জিএসটি চালু করা হয়েছিল। এরফলে এক দেশ, এক বাজার ও এক কর ব্যবস্থা চালু হয়েছে বলে উল্লেখ করেন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি মনে করেন যে কোনও সরকারি কর্মসূচির সফলতা সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণ ব্যতীত সম্ভব নয়। তাই ৫ বছরে জিএসটি ভারতের কর ব্যবস্থায় যে সফলতা অর্জন করেছে তা জনগণের সার্বিক অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হচ্ছে। পূর্বে কর প্রদান ব্যবস্থা খুবই জটিল ছিল। এরফলে কর সংগ্রহের পরিমাণ কম ছিল। এরফলে দেশকে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হতাে। কিন্তু জিএসটি চালু হওয়ার ফলে দেশে প্রতিবছরই কর প্রদানকারী মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তিনি আরও বলেন, ভারতীয় অর্থনীতির মেরুদন্ড হলাে অতিক্ষুদ্র ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্পগুলি জিএসটি চালু হওয়ায় এই সকল সংস্থাগুলির উপর থেকে করের বােঝা হ্রাস করা হয়েছে। প্রায় ৪০০টি দ্রব্য এবং ৮০টি বিভিন্ন ধরনের পরিষেবার উপর জিএসটির ফলে কর হ্রাস পেয়েছে। এই কর ব্যবস্থা চালু হওয়ায় আন্তঃরাজ্য পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থায় খরচ অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। সময়, অর্থনীতি, পরিস্থিতি বিচার করে সকলের সম্মতিতেই প্রয়ােজন অনুসারে জিএসটি কাউন্সিলের মাধ্যমে এই ব্যবস্থাকে সরলীকরণ করা হচ্ছে। আগামীদিনেও এই প্রয়াস জারি থাকবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অর্থ দপ্তরের সচিব ব্রিজেশ পান্ডে ও চিফ কমিশনার অব স্টেট ট্যাক্স রাখী বিশ্বাস। উল্লেখ্য, ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে ১৪ লক্ষ ২৭ হাজার ৩১৩ কোটি টাকা জিএসটি সংগ্রহ হয়েছে। ইতিমধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুন। মাস পর্যন্ত এই সংগ্রহ হয়েছে ৪ লক্ষ ৫৩ হাজার ৪১ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ত্রিপুরা রাজ্যে ক্ষতিপূরণ প্রদান ব্যতীত জিএসটি সংগ্রহ হয়েছিল ৪৭৯.৭১ কোটি টাকা। যা বেড়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে দাঁড়িয়েছে ১,২৮২.৬৯ কোটি টাকা। আজকের এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নেপকোর সিজিএম দেবানী দে, গেইলের জিএম বিশ্বজিৎ দেববর্মা, আইওসিএল-এর ডিজিএম জাম্পনিয়াম পানমেই, এনআইসি-র সিনিয়র টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর অভিজিৎ ভট্টাচার্য।