Hare to Whatsapp
দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যকে একই সূত্রে গাঁথার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াস এতে প্রতিফলিত হয় : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুলাই ১৫, : ভারতে দাবা অলিম্পিয়াড আয়ােজনের অঙ্গ হিসেবে বিশ্বে প্রথমবারের মতাে অনুষ্ঠিত মশাল রিলে দেশের বিভিন্ন শহর পরিক্রমা করে ১৪ জুলাই আগরতলায় এসে পৌঁছায়। এই উপলক্ষে আগরতলা টাউনহলে রাজ্য সরকারের যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানের আয়ােজন করা হয়। মশাল রিলের মূল অনুষ্ঠান পর্বের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা। ঐতিহাসিক এই মশাল আগরতলায় বহন করে নিয়ে আসেন গ্র্যান্ডমাস্টার মিত্রাভ গুহ। তিনি অনুষ্ঠানের সূচনায় মশালটি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা বলেন, আজ অত্যন্ত আনন্দের দিন। চতুরঙ্গ (দাবা) খেলার উৎপত্তি হয়েছিল আমাদের দেশ ভারতবর্ষে। আজ এই প্রথম আমাদের দেশ দাবা অলিম্পিয়াড আয়ােজন করার সুযােগ পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই দাবা অলিম্পিয়াড উপলক্ষে দেশের সব রাজ্যে এই মশাল নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যকে একই সূত্রে গাঁথার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির প্রয়াস প্রতিফলিত হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধুলারও প্রয়ােজন। কারণ দৈহিক ও মানসিক বিকাশ খেলাধুলা ছাড়া সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, দাবা খেলাকে বিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হলে ছাত্রছাত্রীদের বুদ্ধির বিকাশ খুব সহজেই ঘটবে। কারণ দাবা খেলার মধ্য দিয়ে মস্তিষ্কের অনুশীলন হয়। তিনি বলেন, রাজ্যে দাবা সহ অন্যান্য খেলাধুলাকে আরও বেশি করে প্রসারিত করার জন্য রাজ্য সরকারের প্রয়াস সর্বদা অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার ভারতে আসন্ন দাবা অলিম্পিয়াড আসর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। রাজ্যেও দাবা খেলার আরও প্রসার ঘটবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি তথা পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব বলেন, দাবা খেলার মাধ্যমে মেধার এবং মানসিক বিকাশ ঘটে। শারীরিক এবং মানসিক বিকাশের মাধ্যমে একটি সুস্থ এবং সুন্দর সমাজ এবং রাজ্য গড়ে উঠে। অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের সচিব শরদিন্দু চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অল ত্রিপুরা চেস অ্যাসােসিয়েশনের সভাপতি প্রশান্ত কুন্ডু। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে মুখ্যমন্ত্রী দাবা অলিম্পিয়াডের এই ঐতিহাসিক মশাল অল ত্রিপুরা চেস অ্যাসােসিয়েশনের সভাপতিকে হস্তান্তর করেন। তিনি আবার এই মশালটি গ্র্যান্ডমাস্টার মিত্রাভ গুহকে হস্তান্তর করে দেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা এবং দাবা অলিম্পিয়াডের হাইলাইটস সম্বলিত একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপনা করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও পরিবেশিত হয়।