রাজ্যের সমস্ত রেশন কার্ডকে পিভিসি কার্ডে রূপান্তরিত করার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে : খাদ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, মার্চ ২৬, : রাজ্যের সমস্ত রেশন কার্ডকে স্মার্ট কার্ডের ন্যায় পিভিসি কার্ডে রূপান্তরিত করার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। আগরতলা পুরনিগম এলাকায় পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে প্রথমে এই কার্ড বিলি করা হবে। এজন্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার কার্ড ইতিমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামী মাসখানেকের মধ্যে এই কার্ড ভোক্তাদের মধ্যে প্রদান করা হবে। ২৫ মার্চ রাজ্য বিধানসভায় রেফারেন্স পিরিয়ডে বিধায়ক নন্দিতা রিয়াংয়ের জনস্বার্থে আনা একটি জরুরি নোটিশের উপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এ তথ্য জানান। তিনি জানান, রাজ্যে ২ হাজারের উপর ন্যায্যমূল্যের দোকান রয়েছে। এগুলিকে ইতিমধ্যেই ডিজিটাইজেশন করা হয়েছে। রেশনশপগুলিতে ডিজিটাইজেশন করার পর পুরোনো রেশন কার্ডগুলিকে পাল্টে ভোক্তাদের পিভিসি কার্ড দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য চলতি বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে ভোক্তাদের ই-কেওয়াইসি করার কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সব অংশের জনগণের মধ্যে এখনও এই বিষয়ে সচেতনতা তৈরি না হওয়ায় এই কাজ যত দ্রুততার সঙ্গে হওয়ার কথা ছিল তা হচ্ছে না। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বেশি সমস্যা হচ্ছে। শহরাঞ্চলেও ভোক্তাদের সবাই রাজ্যে না থাকায় ই-কেওয়াইসি তৈরির কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। রেশন ডিলারগণ ভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের বর্তমান সরকার সমস্ত কাজে স্বচ্ছতা বজায় রাখার চেষ্টা করছে। এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রথা এখানেও চালু হয়েছে। রাজ্যে ৯ লক্ষ ৮৩ হাজার রেশন কার্ড রয়েছে। সবগুলিকেই পিভিসি কার্ডে রূপান্তর করা হবে। ৩১ মার্চ অব্দি কত শতাংশ ভোক্তার ই-কেওয়াইসি হয়েছে তা দেখার পর প্রয়োজনে কেওয়াইসি করার সময়সীমা বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন...