Hare to Whatsapp
রাজ্যে ধর্মীয় উদ্দেশ্যে পশু জবাই করা যাবে না বলে কোনও আইন বলবৎ নেই : প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের সচিব
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুলাই ১০, : পশুকল্যাণ আইনে পশু পরিবহণ বিধি-১৯৭৮, পশু সংশােধন বিধিমালা ২০০১, ভারতীয় খাদ্য নিরাপত্তা ও মান, পৌর আইন নির্দেশাবলি এবং পশু পরিবহণ নিয়ম মেনে চলতে হবে। ৯ জুলাই সচিবালয়ে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের সচিব ড. টি কে দেবনাথ এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানিয়ে বলেন, অবৈধ পশু হত্যা বিষয়ক একটি নির্দেশিকা জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারদের উদ্দেশ্যে জারি করার ফলে কোনও কোনও মহলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এই বিভ্রান্তির স্পষ্টিকরণ দিয়ে দপ্তরের সচিব জানান, শহর এলাকায় অবৈধভাবে প্রকাশ্য স্থানে স্লটার হাউস ব্যতীত পশুপ্রাণী হত্যার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রয়েছে। এইসব বিধিনিষেধ আগেও ছিল।
সাংবাদিক সম্মেলনে দপ্তরের সচিব বলেন, ভারতীয় প্রাণী কল্যাণ পর্ষদের সচিব কর্তৃক প্রেরিত চিঠিতে সমস্ত রাজ্য সরকারগুলিকে প্রাণীদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরােধ আইন প্রিভেশন অব ক্রুয়েলটি টু অ্যানিমেল অ্যাক্ট, ১৯৬০ যথাযথভাবে নজর রাখতে বলা হয়েছে। এ সময়ে বিশেষ করে বকরি ঈদের সময় অনেক সংখ্যক পশু ও পাখি খাবারের নিমিত্ত জবাই করা হয়। এরজন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে পশু ও পাখি পরিবহণ করা হয়। এই পরিবহণের সময় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিয়মের বাইরে অবৈজ্ঞানিকভাবে পশু ও পাখি পরিবহণ করে। এতে করে প্রাণীদের ক্লেশ হয় এবং কখনও কখনও মৃত্যু পর্যন্ত হয় যা পশু পরিবহণ বিধি ১৯৭৮ এর নিয়ম বিরােধী। এ ধরনের অবৈধ প্রাণী পরিবহণের উপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। প্রাণীদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরােধ আইন ১৯৬০-এর অধীনে যে কোনও পশুর নিষ্ঠুরতা একটি শাস্তিযােগ্য অপরাধ। প্রিভেনশন অব ক্রুয়েলটি টু অ্যানিমেল (স্লটার হাউস) রুলস ২০০১, রুল-৩ অনুযায়ী কোনও অসুস্থ পশু, গর্ভবতী গাভি, যার বাচ্চার বয়স তিন মাসের কম অথবা যে পশুর বয়স তিনমাসের কম এরকম পশুদের জবাই করা নিয়ম বিরুদ্ধ। রাজ্যে ধর্মীয় উদ্দেশ্যে পশু জবাই করা যাবে না বলে কোনও আইন বলবৎ নেই। সাংবাদিক সম্মেলনে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের অধিকর্তা ডি কে চাকমা এবং অতিরিক্ত অধিকর্তা বি কে দাস উপস্থিত ছিলেন।