Hare to Whatsapp
খার্চির আলােক শিখার স্পর্শে আমাদের সম্প্রীতি আরও সুদৃঢ় হয় : জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুলাই ৮, : খার্চি পূজা এরাজ্যের এক ঐতিহ্যবাহী উৎসব। সম্প্রীতির উৎসব হচ্ছে খার্চি। ৭ জুলাই থেকে পুরান হাবেলীর চতুর্দশ দেবতার মন্দিরে ৭ দিনব্যাপী শুরু হয়েছে খার্চি পূজা। আজ একটি পবিত্র ও শুভ তিথি। এই তিথিতেই সকলের সুখ ও সমৃদ্ধির কামনায় চতুর্দশ দেবতার বাৎসরিক পূজার আয়ােজন করা হয়। আজ চতুর্দশ দেবতা মন্দির প্রাঙ্গণে খার্চি উৎসব, মেলা ও প্রদর্শীর উদ্বোধন করে জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া একথা বলেন। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর, ত্রিপুরা পর্যটন উন্নয়ন নিগম লিমিটেড ও খার্চি মেলা কমিটির যৌথ উদ্যোগে খার্চি উৎসবের আয়ােজন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, আজ খার্চি উৎসবের সূচনা লগ্নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদী এক টুইট বার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শুভেচ্ছাবার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদী বলেছেন, “আজ থেকে শুরু হয়েছে ত্রিপুরার ঐতিহ্যবাহী খার্চি পূজা। চতুর্দশ দেবতার কাছে আমি সকলের জন্য আশির্বাদ চাইছি। সেই সাথে প্রত্যেকের সুস্বাস্থ্য, সফলতা ও সমৃদ্ধি কামনা করছি”।
খার্চি উৎসবের উদ্বোধন করে জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী শ্রী রামপদ জমাতিয়া বলেন, আমরা সকলেই চতুর্দশ দেবতার আশির্বাদে ধন্য। খার্চির আলােক শিখার স্পর্শে আমাদের সম্প্রীতি আরও সুদৃঢ় হয়। চতুর্দশ দেবতার আশির্বাদে রাজ্যের বিকাশে সরকার বহুমুখী কর্মসূচি নিয়েছে। পুরাতন হাবেলীর চতুর্দশ দেবতার মন্দিরের উন্নয়নেও নেওয়া হয়েছে পরিকল্পনা। জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, রাজ্যের বিকাশে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল অংশের মানুষ সহযােগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি মৎস্যমন্ত্রী প্রেম কুমার রিয়াং খার্চি উৎসবের প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে উৎসবের আনন্দ উপভােগ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, খার্চি উৎসব সকলের জন্য আশির্বাদস্বরূপ। তিনি আশা প্রকাশ করেন জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলে এই উৎসবের আনন্দ উপভােগ করবেন। খর্চি উৎসব ও মেলা কমিটির চেয়ারম্যান ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী অনুষ্ঠানে সকলকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, যে গত দু’বছর আমরা করােনা ভাইরাসের এক গহীন অন্ধকারের কবলে ছিলাম। লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে আমরা সেই অন্ধকার থেকে মুক্ত হতে পেরেছি। চতুর্দশ দেবতার কাছে আমাদের সকলের কামনা থাকবে এমন অন্ধকার যুগ যেন আমাদের জীবনে আর না আসে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি যাই হােক না কেন আমরা সমস্ত হিংসা বিদ্বেষ ভুলে নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ে উন্নয়নের কাজে ব্রতী হবাে। কোন কু প্রভাবে বা গুজবে আমরা অনুপ্রাণিত হবাে না।
অনুষ্ঠানে ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পর্যটন উন্নয়ন নিগম লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তড়িৎ কান্তি চাকমা, জিরানীয়া মহকুমার মহকুমা শাসক জীবন কৃষ্ণ আচার্য প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের শিল্পীগণ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অতিথিগণ বিভিন্ন প্রদর্শনী স্টলগুলি উদ্বোধন ও পরিদর্শন করেন।