Hare to Whatsapp
মাধ্যমিকে পাশের হার ৮৬.১৮ শতাংশ ও উচ্চমাধ্যমিকে পাশের হার ৯৪.৪৬ শতাংশ
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুলাই ৭, : ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত ২০২২ সালের মাধ্যমিক, মাদ্রাসা আলিম (মাধ্যমিক) এবং উচ্চমাধ্যমিক, মাদ্রাসা ফাজিল (দ্বাদশ) পরীক্ষার ফলাফল ৬ জুলাই প্রকাশ করা হয়েছে। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার ৮৬, ১৮ শতাংশ। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার ৯৪.৪৬ শতাংশ।
৬ জুলাই ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মিলায়তনে পর্ষদ আয়ােজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে পর্ষদের সভাপতি ড. ভবতােষ সাহা এই দুটি পরীক্ষার ফলাফল ঘােষণা করেন। পর্ষদ সভাপতি ড. সাহা সাংবাদিকদের বলেন, এবছর মাধ্যমিক, মাদ্রাসা আলিম এবং উচ্চমাধ্যমিক ও মাদ্রাসা ফাজিল টার্ম ওয়ান এবং টার্ম-টু পরীক্ষা দুটির যৌথ ফলাফলের ভিত্তিতে এই চুড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি জানান, পরীক্ষার্থীদের মার্কশিট ও সার্টিফিকেট নিজ নিজ বিদ্যালয়ের মাধ্যমে পরে দেওয়া হবে। পর্ষদ সভাপতি ড. সাহা জানান, এবছর কোভিড-১৯-এর কারণে দুটি পর্যায়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। এবছর মাধ্যমিক টার্ম ওয়ান পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ছিল ৪৩ হাজার ২৮২ জন। টার্মটুতে পরীক্ষার্থী ছিল ৪৩ হাজার ২৯৪ জন। এবছর উচ্চমাধ্যমিকে মােট পরীক্ষার্থী ছিল ২৮ হাজার ৯৩১ জন। এরমধ্যে কলা বিভাগে ২৪,৬৯৪ জন বাণিজ্য বিভাগে ৬৭২ জন, বিজ্ঞান বিভাগে ৩,৫০৮ জন, এসএস বিভাগে ১ জন, মাদ্রাসা ফাজিল আর্টসে ৪ জন এবং মাদ্রাসা ফাজিল থিওলজিতে ৫২ জন পরীক্ষায় বসে। তবে উভয় পরীক্ষায় ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা ছিল বেশি। তিনি জানান, এবছর ১০০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী পাশ করেছে এমন মাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যা হলাে ১৯৭টি। উচ্চমাধ্যমিকে ১০০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী পাশ করেছে এমন স্কুলের সংখ্যা হলাে ৮৫টি। এবছর ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের অধীনস্থ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে | মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল ১২,৫৭৮ জন। পাশ করেছে ১০,২০৩ জন। এ-ওয়ান পেয়েছে ৬১ জন। এ-টু পেয়েছে ৩৩২ জন। পরীক্ষা দেয়নি ১৮৯ জন। অনুত্তীর্ণ হয়েছে ২, ১৮৬ জন। পাশের হার ৮২.৩৬ শতাংশ। এই এলাকার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় নথিভুক্ত পরীক্ষার্থী ছিল ৫,৯৭০ জন। পাশ করেছে ৫,৬৪৪ জন। এ-ওয়ান পেয়েছে ৩৪ জন। এ-টু পেয়েছে ১৮১ জন। অনুত্তীর্ণ হয়েছে ২৭০ জন। পরীক্ষা দেয়নি ৫৬ জন। পাশের হার ৯৫.৪৩ শতাংশ।
মাধ্যমিকে জেলাস্তরে সর্বোচ্চ পাশের হার পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় ৯০.৭৫ শতাংশ। সর্বনিম্ন ধলাই জেলায়। ৮১.৮৭ শতাংশ। উচ্চমাধ্যমিকে জেলাস্তরে সর্বোচ্চ পাশের হার দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা। ৯৭. ১৩ শতাংশ। সর্বনিম্ন পাশের হার পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় ৯৪.৯২ শতাংশ। এবছর মাধ্যমিকে ৩২ জন দিব্যাঙ্গজন ও দৃষ্টিহীন ছাত্রছাত্রী এবং উচ্চমাধ্যমিকে ২৪ জন দিব্যাঙ্গজন ও দৃষ্টিহীন ছাত্রছাত্রী পর্ষদে নাম নথিভুক্ত করেছিল। পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফল ঘােষণা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়ায় পর্ষদ সভাপতি শিক্ষক শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রী, সাংবাদিক অভিভাবক সহ বিভিন্ন দপ্তরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে পর্ষদ সচিব ড. দুলাল দে প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।