Hare to Whatsapp
রাজ্য সরকার এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গঠন করার লক্ষ্যে কাজ করছে : শিক্ষামন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুলাই ৩, : রাজ্য সরকার এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গঠন করার লক্ষ্যে কাজ করছে। এই কাজ শুরু হয়েছে ক্লাশরুম থেকে অর্থাৎ বিদ্যালয়স্তর থেকেই। এই কাজে রাজ্যের চিকিৎসক ও চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ। 1 July রাতে এজিএমসি এন্ড জিবিপি হাসপাতালের কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার অডিটোরিয়ামে জাতীয় চিকিৎসক দিবসের উদ্বোধন করে তিনি একথা বলেন। এবার চিকিৎসক দিবসের শ্লোগান ছিল ‘এক শাম ডক্টর করে সাথ’। উল্লেখ্য, ভারতরত্ন ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিন ১ জুলাই। প্রতি বছরই এই দিনটি সারা দেশে জাতীয় চিকিৎসক দিবস রূপে পালন করা হয়। গতকাল এই অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন বিধায়ক ডা. দিলীপ কুমার দাস, ডা. অতুল দেববর্মা, প্রাক্তন স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং বিশিষ্ট শিশুরােগ বিশেষজ্ঞ ডা. বিকাশ রায়, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মিশন অধিকর্তা ডা. সিদ্ধার্থ শিব জয়সল, আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক (ডা) মঞ্জুশ্রী রায়।
অনুষ্ঠানে আলােচনা করতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ প্রথমেই ভারতরত্ন বিধানচন্দ্র রায়ের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ডা. বিধানচন্দ্র রায় ছিলেন সনামধন্য চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, মানবদরদি, আধুনিক পশ্চিমবঙ্গের রূপকার। অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি গরীর অংশের রােগীদের জন্য এক ঘন্টা সময় দিতেন। তিনি শিক্ষাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়েছেন। রাজ্য সরকারও শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে আলােচনা করতে গিয়ে তিনি শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরিকাঠামাের উন্নয়নে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রয়াসের কথা তুলে ধরেন।
শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, রাজ্যে এই প্রথম একজন চিকিৎসক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। আরও দুজন চিকিৎসক বিধানসভায় আছেন। তারা বর্তমানে মঞ্চেই আছেন। তিনি বলেন, সারা দেশের সঙ্গে রাজ্যেও চিকিৎসকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এজন্য তিনি চিকিৎসকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকদের সমাজের প্রতি সেবামূলক মনােভাব আরও বাড়াতে হবে। সিনিয়র চিকিৎসকদের দেখে তাদের গুণাবলী আয়ত্ব করতে হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন সমস্যা থাকবে। তার সমাধানের পথও আছে। আমরা সবাই মিলেই সমস্যা সমাধান করব। এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ে তুলব।
আলােচনা করতে গিয়ে বিধায়ক ডা. দিলীপ দাস বলেন, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত চিকিৎসকরা বন্ধুর মতাে আমাদের সঙ্গে থাকেন। এর পাশাপাশি সমাজ সেবামূলক কাজেও আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। বিধায়ক ডা. অতুল দেববর্মা তার আলােচনায় কোভিড পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করতে গিয়ে চিকিৎসকদের অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন পরিবার কল্যাণ ও রােগ প্রতিরােধক অধিকারের অধিকর্তা ডা. রাধা দেববর্মা। সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিকারের অধিকর্তা ডা. শুভাশিস দেববর্মা। গত রাতে এই অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ সহ অতিথিগণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযােগ্য অবদানের জন্য চাকুরিরত চিকিৎসক এবং প্রবীণ চিকিৎসকদের সম্মানিত করেন। এজিএমসি’র চিকিৎসকগণ নেশা বিরােধী সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ‘জীবনমুখী’ নামে একটি নাটক মঞ্চস্থ করেন।