Hare to Whatsapp
জাতি জনজাতির সম্প্রীতির অন্যতম নির্দশন হচ্ছে খার্চি মেলা : তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুন ৮, : জাতি জনজাতির সম্প্রীতির অন্যতম নিদর্শন হচ্ছে খার্চি মেলা ও উৎসব। এই মেলা ও উৎসবকে বিশ্বের দরবারে যথাযথভাবে তুলে ধরার জন্য সবাইকে আরও বেশি দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। ৭ জুন পুরাতন আগরতলার চতুর্দশ দেবতা বাড়িতে আসন্ন খার্চি মেলা ও উৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে খয়েরপুরের গীতবিতান হলে আয়ােজিত এক প্রস্তুতি সভায় তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী। সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, জাতি জনজাতি উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি এবং ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক হচ্ছে খার্চি মেলা। গত ২ বছর কোভিড়ের কারণে খার্চি মেলা ঐতিহ্য অনুযায়ী আয়ােজন করা যায়নি। এবছর এই মেলাকে তার পুরােনাে ঐতিহ্যে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। সভায় বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী বলেন, এই উৎসব ও মেলায় শুধু রাজ্যের নয় পার্শ্ববর্তী রাজ্য এবং প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশ থেকেও পুণ্যার্থীরা অংশ নিয়ে থাকেন। রাজ্যের চিরাচরিত সম্প্রীতির ঐতিহ্য বহন করছে খার্চি মেলা ও উৎসব। তাই এই উৎসব যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে।
সভায় এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব, আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, পুরাতন আগরতলা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ শীল, পুরাতন আগরতলার বিডিও পামেলা সাহা, জিরানীয়া মহকুমার মহকুমা শাসক জীবন কৃষ্ণ আচার্য, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা সুবিকাশ দেববর্মা, সমাজসেবী অমিত নন্দী এবং বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগণ। আগাম ই থেকে শুরু হবে ৭দিনব্যাপী খার্চি মেলা ও উৎসব। সভায় মেলা ও উৎসবকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য বিস্তারিত আলােচনা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, অন্যান্য বছরের মতাে এবছরও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষ থেকে উৎসব ও মেলা প্রাঙ্গণে প্রদর্শনী মন্ডপ খােলা হবে। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষ্ণমালা মঞ্চে বর্ণময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়ােজন করা হবে। মেলা কমিটির চেয়ারম্যান রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী এই মেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সবার সহযােগিতা কামনা করেন।