Hare to Whatsapp
খারিফ মরশুমে ন্যূনতম সহায়কমুল্যে রাজ্যে ২০ হাজার মেট্রিকটন ধান ক্রয় করা হবে : তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ২৫ , : রাজ্যের কৃষকদের কাছ থেকে এবছরের খারিফ মরশুমে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ১৯ টাকা ৪০ পয়সা কেজি দরে ২০ হাজার মেট্রিকটন ধান রাজ্য সরকার ক্রয় করবে। সারা রাজ্যের ৩২টি অস্থায়ী ক্রয় কেন্দ্রে ধান ক্রয় করা হবে। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ২৪ মে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, খারিফ মরশুমে স কিমূল্যে ধান ক্রয় করার ফলে রাজ্য সরকারের ব্যয় হবে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা।
প্রথম সপ্তাহ থেকে ধান ক্রয় করার কাজ শুরু হবে। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে কৃষকদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত ১ লক্ষ ৪ হাজার ২০৮.২৭ মেট্রিকটন ধান ক্রয় করা হয়েছে। এজন্য সরকারের ব্যয় হয়েছে। ১৯২ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা।
সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রী চা শ্রমিক কল্যাণ প্রকল্পের অধীনে চা শ্রমিকদের কল্যাণার্থে সারা রাজ্যের চা শ্রমিক পরিবারকে ২ থেকে ৩ গন্ডা জমি বিনামূল্যে দেওয়া হবে। এতে সারা রাজ্যে ৭ হাজার ২৩০টি চা শ্রমিক পরিবার উপকৃত হবেন। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জানান, আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে পরিবহণ দপ্তরের অধীনে আগামী ৫ বছরের জন্য ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল পলিসি গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি জানান, এতােদিন পর্যন্ত আমাদের রাজ্য ছাড়া সারা দেশের ১৪টি রাজ্যে এই পলিসি কার্যকর রয়েছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের মেঘালয় ও আসাম রাজ্যেও এই পলিসি কার্যকর রয়েছে। তিনি আরও জানান, এই পলিসি চালু করার মুখ্য উদ্দেশ্য হলাে রাজ্যে দূষণ মুক্ত পরিবেশ বজায় রাখা। তিনি বলেন, সারা রাজ্যে মােট ৬০ হাজার ছােট বড় যানবাহন রয়েছে। এই পলিসি অনুসারে আগামী পাঁচ বছরে কমপক্ষে ১০ শতাংশ যানবাহনকে বৈদ্যুতিক যানবাহনে রূপান্তর করার প্রয়াস নেওয়া হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জানান, আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে পরিবহণ দপ্তরের অধীনে ৬টি মােটর ভেহিক্যাল ইন্সপেক্টর পদে লােক নিয়ােগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টিপিএসসি-র মাধ্যমে এই নিয়ােগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। তিনি জানান, খুব শীঘ্রই এই নিয়ােগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য দপ্তর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।