Share Whatsapp

বিচ্ছিন্ন রেল যােগাযােগ ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্যবাসীকে অযথা আতঙ্কিত না হতে রাজ্য সরকারের আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, মে ১৯, : সাম্প্রতিক অতিবর্ষণের ফলে রাজ্যের সঙ্গে রেলপথে যােগাযােগের ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়লেও রাজ্যবাসীকে অযথা আতঙ্কিত না হতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আবেদন জানানাে হয়েছে। আজ বিকেলে সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে আয়ােজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবহণ দপ্তরের প্রধান সচিব এল এইচ ডার্লং, খাদ্য দপ্তরের সচিব শরদিন্দু চৌধুরী এবং খাদ্য দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব তথা অধিকর্তা তপন কুমার দাস জানিয়েছেন রাজ্যের যােগাযােগের অন্যতম প্রধান লাইফলাইন তথা জাতীয় সড়কের কয়েকটি স্থানে ভূমি ধসের ঘটনা ঘটলেও ইতিমধ্যে তা সরিয়ে পণ্যবাহী যান সহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে এবং এই পথে যানবাহন চলাচল আজ থেকে শুরু হয়েছে। যদি পুনরায় ভারি বর্ষণ না হয় তাহলে দুই এক দিনের মধ্যেই রাজ্যের সঙ্গে সড়ক পথে যােগাযােগ সম্পূর্ন স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আগরতলা-কোলকাতা, আগরতলা-দিল্লি, আগরতলা-গৌহাটি রুটে অতিরিক্ত বিমান চালানাের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের কাছে অনুরােধ জানানাে হবে। এবিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মন্ত্রীর কাছে চিঠি দেবেন। দপ্তরের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যােগাযােগ রক্ষা করা হচ্ছে।

খাদ্য দপ্তরের সচিব শরদিন্দু চৌধুরী জানিয়েছেন রাজ্যের বাজারগুলিতে বর্তমানে নিত্য প্রয়ােজনীয় পণ্যের মজুত স্বাভাবিক রয়েছে। এবিষয়ে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য রাজ্যবাসীকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, বাজারে নিয়মিত নজরদারি রাখা হচ্ছে। এক্ষুনি সঙ্কট দেখা দেবার কোন কারণ। নেই। পেট্রো পন্য এবং অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ইন্ডিয়ান ওয়েল, এফসিআই কর্তৃপক্ষ এবং আসাম সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যােগাযােগ রাখা হচ্ছে। রাজ্যে বর্তমানে গনবন্টন ব্যবস্থায় ৪২ দিনের চাল, ৩৮ দিনের গম, ২৮ দিনের চিনি, ৪১ দিনের মশুর ডাল, ৩৩ দিনের লবন এবং ১০ দিনের কেরােসিন তেল মজুত রয়েছে। খাদ্য দপ্তরের অধিকর্তা তপন কুমার দাস জানিয়েছেন রাজ্যে সড়ক পথে পেট্রো পন্য আসা অব্যাহত রয়েছে। এই মুহুর্তে ৫০টি পেট্রোল এবং ডিজেলবাহী। ট্যাঙ্কার রাজ্যের পথে আসা যাওয়া করছে। তিনি জানান, রাজ্যে বর্তমানে পেট্রোল ও ডিজেলের দৈনিক চাহিদা হল যথাক্রমে ২২০ কিলােলিটার এবং ৩৫০ কিলােলিটার। রাজ্যের বিভিন্ন এজেন্সি এবং আই ও সি এল -এর ধর্মনগর ডিপাে মিলিয়ে আজ সকালে রাজ্যে ১৬৩৮ কিলােলিটার পেট্রোল এবং ২১৮৪ কিলােলিটার ডিজেল মজুত ছিল। আই ও সি এল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তাদের মৈনারবান্দ ডিপাে থেকে ২০০ কিলােলিটার পেট্রোল ও প্রয়ােজনীয় ডিজেল সাপ্লাই করা হচ্ছে। পাশাপাশি গৌহাটি থেকেও রাজ্যে পেট্রোল আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।




You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.