Hare to Whatsapp
কবিগুরুর কবিতা-গান-সাহিত্য মানুষকে সমস্যা সমাধানের পথ দেখায় : কৃষিমন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, মে ১০, : চন্দ্র-সূর্য যতদিন থাকবে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও ততদিন আমাদের মাঝে থাকবেন। তিনি বাঙালীর অলঙ্কার। কবিগুরু বিশ্ববাসীদের কাছে বাঙালীকে তুলে ধরেছেন। ৯ মে উদয়পুর ভুবনেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী রাজর্ষি উৎসব ও মেলার উদ্বোধন করে একথা বলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায়। অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, কবিগুরুর কবিতা-গান-সাহিত্য মানুষকে সমস্যা সমাধানের পথ দেখায়। চার প্রজন্মের রাজাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। কবিগুরুর মৃত্যুর ঠিক তিন মাস আগে ত্রিপুরার রাজা বীরবিক্রম মাণিক্য বাহাদুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভারত ভাস্কর উপাধি দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, রাজ পরিবারের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সুসম্পর্ক ছিল।
অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা খুব ভাগ্যবান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভুবনেশ্বরী মন্দিরকে কেন্দ্র করে লিখেছেন রাজর্ষি উপন্যাস। রাজ্য সরকার ভুবনেশ্বরী মন্দির সহ সকল পর্যটন কেন্দ্রকে সাজিয়ে তুলতে পর্যটন শিল্পের বিকাশে কাজ করছে। রাজ্য সরকার ভুবনেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণের পরিকাঠামােগত উন্নয়নের জন্য ২ কোটি ৫১ লক্ষ টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি এর কাজ শুরু হবে। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি বিধায়ক বিপ্লব কুমার ঘােষ বলেন, ভারতের দর্শন, দেশপ্রেম, জাতীয়তাবাদী চিন্তাধারার জনক হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথের লেখার মধ্যে সকল সমস্যার সমাধান আছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উদয়পুর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন শীতল চন্দ্র মজুমদার এবং জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি কার্যালয়ের সহঅধিকর্তা মনােজ দেববর্মা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উদয়পুর মহকুমা শাসক অনিরুদ্ধ রায়। তাছাড়াও আজ সকালে উদয়পুর টাউনহল প্রাঙ্গণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ্য ও মাল্যদান করা হয়। পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন গােমতী জিলা পরিষদের সভাধিপতি স্বপন অধিকারী, বিধায়ক বিপ্লব কুমার ঘােষ, উদয়পুর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন শীতল চন্দ্র মজুমদার, মহকুমা শাসক অনিরুদ্ধ রায় প্রমুখ। তাছাড়াও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে প্রভাতী কবি প্রণাম অনুষ্ঠানের আয়ােজন করা হয় ভুবনেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণে। সেখানেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য ও মাল্যদান করা হয়। পরিবেশিত হয় মনােজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রাজর্ষি উৎসব উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে বসে আঁকো প্রতিযােগিতা, গ্রামীণ ক্রীড়া ও স্বাস্থ্য শিবির। তাছাড়া তিন দিনব্যাপী রাজর্ষি উৎসব উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে ত্রিপুরা সহ কলকাতার শিল্পীগণ অংশগ্রহণ করবেন। মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন দপ্তর থেকে খােলায় হয়েছে প্রদর্শনী মন্ডপ।