Hare to Whatsapp
২৪ ঘন্টা অতিক্রান্ত, শামুকছড়ার ত্রয়ী অস্বাভাবিক মৃত্যু-রহস্যের উন্মোচন হয়নি, গ্রেপ্তার মৃতার স্বামী
By Our Correspondent
আগরতলা, মার্চ ১৪, : দুই শিশু সন্তানকে বিষ খাইয়ে নিজে ফাঁসিতে আত্মঘাতী কাকাড়াবন বিধানসভা কেন্দ্রের শামুকছড়ার উপজাতি রমনী যমুনা দেববর্মা (২৫)-এর মৃত্যুর ঘটনার ২৪ ঘন্টা গত হয়ে গেলেও স্থানীয় পুলিশ কিংবা জেলা প্রশাসন আজ রাত ৮টা নাগাদও এটা স্পষ্ট করে বলতে পারেননি কেন এমন হৃদয় বিধারক ঘটনাটি ঘটলো। গোমতী জেলার জেলা শাসক তরুন দেবনাথ অবশ্য মুখ্যসচিব মনোজ কুমারকে পাঠানো তার রিপোর্টে বলেছেন খাদ্যাভাব জনিত কোন সমস্যা ছিলনা মৃতার পরিবারে।
ডি এম শ্রী দেবনাথ জানিয়েছেন, আজ মৃতা যমুনা দেববর্মার পরিবারের তরফে কাকড়াবন থানায় একটি এফ আই আর দায়ের করা হয়েছে। তাতে স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে পারিবারিক কলহের কথা বলা হয়েছে। এই অনুযায়ী পুলিশ মৃতার স্বামী আন্দোলন কিশোর দেববর্মাকে গ্রেপ্তার করেছেন। ডি এম জানান আন্দোলন কিশোরকে গ্রেপ্তার করার সময় তার পকেটে চারশত টাকা পাওয়া গেছে।
তাছাড়া মৃতার পরিবারের কাছে বিপিএল কার্ড ছিল। অর্থাৎ কম দামে রেশন সামগ্রী তারা পেতো। তাছাড়া মৃতার স্বামী আন্দোলন কিশোর নিজেও অভিজ্ঞ রাবার টেপার। টেপিং এর কাজ করে সে ভালো টাকা উপার্জন করতো। তাছাড়া তাদের এক কানি কৃষি জমিও রয়েছে। তাই, ডি এম মুখ্যসচিবকে পাঠানো তার রিপোর্টে বলার চেষ্টা করেছেন, যে খাদ্যাভাব জনিত কোন কারন নেই এই ত্রয়ী অস্বাভাবিক মৃত্যুকান্ডে।
পক্ষান্তরে, স্থানীয়ভাবে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে কাকড়াবনের বিধায়ক রতন ভৌমিক বলেছেন, তিনি যতটা জেনেছেন, তীব্র আর্থিক সংকটের কারণেই এই রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তিনি আগামীকাল ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। শ্রী ভৌমিক জানান, তিনি স্থানীয় সূত্রে জানতে পেরেছেন যে, মৃতার পরিবারের কাছে কোন এমজিএন রেগার কোন কার্ড ছিলনা। সাত বছরের মেয়ে একটি ইংরেজী মাধ্যমের মিশনারী স্কুলে পড়তো। সে পরীক্ষার ফিস দিতে পারেনি, তাই পরীক্ষা হয়ে গেলেও তার ফলাফল তাকে জানানো হবেনা। স্কুলের তরফে এমন কথা জানানো হয়েছিল। অর্থের জোগাড় হয়নি বলে, মা অভিমান করে স্বামী আন্দোলনের সঙ্গে আগের দিন রাতে ঝগড়া করেছিল। স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে এই ঝগড়ার ঘটনাটি স্থানীয় অনেকেই জানতো। পুলিশও অবশ্য এই বিষয়টি স্বীকার করেছে। তাই স্থানীয় মানুষের ধারনা অর্থকড়ি নিয়ে স্বামী-স্ত্রী-র মধ্যে ঝগড়া ঝাটির প্রেক্ষিতেই অভিমানী মা দুই শিশু সন্তানকে বিষ খাইয়ে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন। তবে জেলা শাসকের অভিমত, আর্থিক অনটনের কোন খবর প্রাথমিক তদন্তে প্রকাশ পায়নি। তবে পুলিশ তদন্ত করছে। খুব শীঘ্রই প্রকৃত রহস্য জানা যাবে বলে জেলা শাসক শ্রী দেবনাথ জানিয়েছেন।