Hare to Whatsapp
উন্নয়ন কর্মসূচি নিয়ে সরকারই মানুষের কাছে যাচ্ছে : উপমুখ্যমন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, মে ৩, : মানুষকে সরকারের কাছে যেতে হবে না। উন্নয়ন কর্মসূচি নিয়ে সরকারই মানুষের কাছে যাচ্ছে। এই দৃষ্টিভঙ্গিতে এখন মানুষের কল্যাণে রাজ্যজুড়ে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে। ২ মে ফটিকরায়ের রাজনগর পঞ্চায়েতে কুমারঘাট ব্লকের ফটিকরায় এক্সটেনশন কাউন্টার, দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রামজ্যোতি যােজনায় ৩৩ X ১১ কেভি এবং ২ X ৫ এমভিএ বিদ্যুৎ সাবস্টেশন এবং কৃষক জ্ঞান কেন্দ্রের উদ্বোধন করে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা একথা বলেন। তিনি বলেন, উন্নয়নের জন্য মানুষকে এখন আন্দোলন করতে হয় না। গত চার বছরে রাজ্যে মােট ৩৫টি বিদ্যুৎ সাবস্টেশন তৈরি করা হয়েছে। এবছরের জুলাই মাসের মধ্যে মােট ৭০টি বিদ্যুৎ সাবস্টেশন তৈরি করা হবে। মানুষকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার লক্ষ্যে এই সাবস্টেশনগুলি নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বিদ্যুতের মাশুল এক টাকাও বাড়ায়নি। বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য বিশ্ব ব্যাঙ্ক এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক থেকে অর্থের সংস্থান করা হয়েছে। তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নেও রাজ্যের বর্তমান সরকার অনেক কাজ করছে। বিভিন্ন উন্নয়ন কার্মকান্ডের জন্য কাউকে আন্দোলন করতে হয়নি। এটাই হচ্ছে। জনতার সরকার, উন্নয়নমুখী সরকার। তিনি বলেন, উনকোটির মতাে ছােট জেলাও চারটি জাতীয় সড়কের সাথে যুক্ত হবে। তা একটা সময়ে কেউ ভাবতে পারেনি। কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যেও নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় বলেন, এই চার বছরে প্রতিটি ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার উন্নয়নকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করা হচ্ছে। এজন্য গতানুগতিক চাষ ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এতে ফলও পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতিটি প্রশাসনিক ব্লকে কৃষি মহকুমা করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। কৃষকদের সুবিধার জন্য ৮টি জেলাতেই গােডাউন খােলা হয়েছে। সেগুলি থেকে কৃষকদের সার সরবরাহ করা হয়। তিনি বলেন, কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে তাদের উৎপাদিত ফসল শুধু রাজ্যের বাইরে নয় বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শ্রমমন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস বলেন, গত চার বছরে রাজ্যে উন্নয়নের ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলেছে। জাতি-জনজাতিদের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী নিরলসভাবে কাজ করছেন।
অনুষ্ঠানে এছাড়া বক্তব্য রাখেন বিষায়ক সুধাংশু দাস, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা দীপক দাস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঊনকোটি জিলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ নিগমের জেনারেল ম্যানেজার (ট্রান্সমিশন) রঞ্জন দেববর্মা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলাশাসক ইউ কে চাকমা। সমাবেশে অতিথিগণ গত অর্থবর্ষ থেকে এবছরে এখন পর্যন্ত কুমারঘাট ব্লকের উন্নয়নের তথ্য সম্বলিত বই উন্মােচন করেন।
উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ সাব স্টেশন তৈরিতে মােট ব্যয় হয়েছে ৭ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা। প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৯-এর ১ সেপ্টেম্বর। কাজের দায়িত্বে ছিল উত্তরপ্রদেশের আরকে ইন্ডাস্ট্রিজ ও এসআর চাড্ডা ইন্ডাস্ট্রিজ। এই সাবস্টেশন থেকে ফটিকরায় কৃষ্ণনগর, রাজনগর, ফটিকছড়া, গকুলনগর ইত্যাদি এলাকার প্রায় ৩,৫০০ বিদ্যুৎ ভােক্তাকে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে বলে জানানাে হয়।