Hare to Whatsapp
নরেন্দ্র মােদি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর উত্তর-পূর্বের উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে :উপমুখ্যমন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, মে ২, : পরিবারে কোন সমস্যা দেখা দিলে বা সমাজে সমস্যা দেখা দিলে তার সমাধানে মহিলারাই প্রথমে এগিয়ে আসেন। রাজ্যের ও দেশের অগ্রগতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মহিলাদের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। এভাবে মহিলাদের স্বশক্তিকরণ করাও সম্ভব হবে। ১ মে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের মিলনায়তনে উত্তর-পূর্ব উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথাগুলি বলেন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষু দেববর্মা। উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রকের সহায়তায় গ্রামােন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়ােজন করা হয়। উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা, কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা, পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব, রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গােস্বামী প্রমুখ অতিথিগণ এই উৎসবের উদ্বোধন করেন।
আজাদি কা অমৃত মহােৎসবের অঙ্গ হিসাবে উত্তর-পূর্ব উৎসবের আয়ােজন করা হয়েছে। উত্তর-পূর্বের প্রতিটি রাজ্যেই এই উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়ােজিত আজ এই অনুষ্ঠানে আলােচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল, ‘উত্তর-পূর্বের উন্নয়নে নারীদের ভূমিকা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযােগ্য অবদানের জন্য উত্তর-পূর্বের আট রাজ্যের তিন জন করে মহিলাকে সংবর্ধনা প্রদান করা উল্লেখযােগ্য কাজের জন্য। অতিথিগণ তাদের স্মারক ও মানপত্র দিয়ে সংবর্ধনা জানান। উল্লেখ্য, উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে এই উৎসব শুরু হয়েছে গত ২৮ এপ্রিল থেকে। সমাপ্তি হবে ৪ মে। সেদিন গুয়াহাটিতে উত্তর-পূর্ব উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
অনুষ্ঠানের মূল ভাবনার উপর আলােচনা করতে গিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা বলেন, দেশভাগের পর দীর্ঘ বছর উত্তর-পূর্বাঞ্চল উপেক্ষিত ছিল। দেশের মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। নরেন্দ্র মােদি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন হতে শুরু করে। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতার কারণে এই অঞ্চল এক সময় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে এই অঞ্চলের নারীদের। উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের নারীদের ক্ষমতায়নে রাজ্য সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মহিলারা অংশগ্রহণ করছেন। মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করতে মহিলা স্বসহায়ক দল গঠন করা হচ্ছে। বর্তমানে রাজ্যে ৩৩ হাজার ৯২৬টি মহিলা পরিচালিত স্বসহায়ক দল রয়েছে। তাতে যুক্ত আছেন ৩ লক্ষ ৮ হাজার মহিলা সদস্যা। নারীদের স্বশক্তিকরণে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা রূপায়ণের কথা বলতে গিয়ে সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের কথাও তিনি তুলে ধরেন।