Hare to Whatsapp
উন্নয়নের প্রধান শর্ত হচ্ছে যােগাযােগ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ:মুখ্যমন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, এপ্রিল ২৯, : উন্নয়নের প্রধান শর্ত হচ্ছে যােগাযােগ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ। একটি দেশের সড়ক, রেল, বিমান, জলপথের উন্নয়নের পাশাপাশি তথ্য ও প্রযুক্তির উন্নয়নে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রধান মাধ্যম। ২৮ এপ্রিল হােটেল পােলাে টাওয়ার্সে ডিজিটাল বাংলাদেশ আইটি বিজনেস সামিট-২০২২ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এ কথা বলেন। বিজনেস সামিটে দিল্লী, কোলকাতা সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্য ও বাংলাদেশের তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবসার সাথে যুক্ত ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেন। সামিটে উভয় দেশ এবং ত্রিপুরা রাজ্যে তথ্য ও প্রযুক্তি ভিত্তিক ব্যবসা করার বিষয়ে কয়েকটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব আরও বলেন, ২০১৮ সালের পর থেকে রাজ্যে ডিজিটাল ব্যবস্থা সম্প্রসারণের ফলে রাজ্যে দ্রুততর ও স্বচ্ছ প্রশাসনিক ব্যবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। যা দেশ এবং রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সদর্থক ভূমিকা পালন করছে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদী প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে সবসময়ই আন্তরিক। তাই তিনি ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সার্কভুক্ত সকল দেশগুলিকে আমন্ত্রণ করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, করােনা পরবর্তী সময়েও ভারত এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি সচল ছিল। এবছরের বাজেটে ভারতবর্ষের জিডিপি ৯ শতাংশ হবে বলে আশাপ্রকাশ করা হয়েছে। ভারত এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি গ্রামভিত্তিক। তাই এই কঠিন সময়েও উভয় দেশের অর্থনীতি এগিয়ে চলছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে রাজ্যে কিছু ছােট ছােট কোম্পানী আইটি সেক্টরে কাজ করছে। রাজ্যে আইটি সেক্টরের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। তাই তিনি সামিটে উপস্থিত সকল ব্যবসায়ীদের রাজ্যে বিনিয়ােগ , করার আহ্বান জানান। রাজ্যে রেল, বিমান যােগাযােগ ব্যবস্থা উন্নয়নের একটি বিস্তৃত ধারণা তিনি সামিটে সকলের সামনে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী এমপি জুনাইদ আহমেদ। পলক বলেন, করােনাকালীন সময়ে ভারতবর্ষ থেকে ১০০টি অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স, ভ্যাকসিন, অক্সিজেন পাওয়া গিয়েছিল। এজন্য তিনি ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সাল নাগাদ দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য কাজ করে চলেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, কারিগরি জ্ঞানকে সার্বজনীন করার ডাককে সামনে রেখে বর্তমান বাংলাদেশ সরকার দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করার দিকে এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, ভারত সরকারের সহায়তায়
বাংলাদেশের ১২টি স্থানে আইটি পার্ক স্থাপন করা হবে। দেশে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত তথ্য ও প্রযুক্তি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত অপটিকেল ফাইবার বসানাে হয়েছে। দেশে বর্তমানে ১৩ কোটি লােক ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। অনুষ্ঠানে সমবায় মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল বলেন, রাজ্য সরকার নতুন ও ডিজিটাল ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদীর নেতৃত্বে ভারতবর্ষ আইটি, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে চলছে। তিনি ভারত বাংলাদেশে যৌথ সম্পর্ক আগামী দিনে আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের প্রধান সচিব পুনিত আগরওয়াল, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি এমডি বিকর্ণ কুমার ঘােষ ও ত্রিপুরাস্থিত বাংলাদেশের সহাকরি হাইকমিশনার আরিফ মােহাম্মাদ।