Hare to Whatsapp
পর্যটন শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে: উপমুখ্যমন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, এপ্রিল ১৮, : পর্যটনশিল্প শুধু বিনােদনের জন্যই নয়, শিক্ষার প্রসারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে করে। রাজ্যে পর্যটন শিল্পের বিকাশে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যটন শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজ্য সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। রাজধানীর উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ প্রাঙ্গণে ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় ভারত-বাংলাদেশ পর্যটন উৎসবের উদ্বোধন করে একথা বলেন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা। তিন দিনব্যাপী আয়ােজিত এই পর্যটন উৎসব শেষ হবে আগামী ১৯ এপ্রিল। তিনদিনের এই উৎসবে। সাংস্কৃতিক কর্মসূচি ছাড়াও রয়েছে আরও বিভিন্ন কর্মসূচি।
উদ্বোধকের বক্তব্যে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা বলেন, ত্রিপুরার সাথে সবদিক দিয়ে বাংলাদেশের একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে। সাংস্কৃতিক কিংবা সংগীত ছাড়াও ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মানুষের আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমান সরকার ত্রিপুরার সাথে বাংলাদেশের মানুষের সম্পর্ক আরও নিবিড় করতে চায়। ত্রিপুরাতে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য অনেক জায়গা রয়েছে। এই প্রসঙ্গে ছবিমুড়া, জম্পুই হিল সহ রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন ক্ষেত্রের কথা উল্লেখ করেন উপমুখ্যমন্ত্রী। তিনি বিশেষভাবে দু'দেশের মধ্যে মানুষে মানুষে সম্পর্কের উন্নতির কথা তুলে ধরেন। ভৌগলিক দিক দিয়েই নয়, বাংলাদেশের সাথে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে ত্রিপুরার। মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার জনসাধারণের বিশাল ভূমিকা ছিল। তিনি বলেন, এই রাজ্য ছােট হলেও মানুষের মনটা বিশাল। আগামীতেও ত্রিপুরায় বাংলাদেশের মানুষকে সাদর আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। ত্রিপুরায় শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যাতে আরও গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করে তার আহ্বান জানান উপমুখ্যমন্ত্রী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করে পর্যটনমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বলেন, ভারতবর্ষ বহু সংস্কৃতি ভাবাপন্ন মানুষের দেশ। এই দেশ কৃষ্টি এবং সংস্কৃতির পরম্পরা নিয়ে চলছে। বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রের অর্থনীতি পর্যটন শিল্পের উপর নির্ভর করে চলছে। আগামী কিছু দিনের মধ্যে ত্রিপুরাতে নারকেলকুঞ্জ একটি অন্যতম আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্র হতে চলেছে। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে সেখানে হ্যালিপেডের উদ্বোধন হয়েছে। এর পাশাপাশি আগামীতে সাব্রুমের ফেনী নদীর ব্রীজ বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরার সংযুক্তি করতে চলেছে। এর মধ্যদিয়ে দু'দেশের মধ্যে ব্যবসার শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে। এতে শুধু ত্রিপুরা নয় বাংলাদেশও লাভবান হবে। এছাড়া দাউদকান্দি দিয়ে ত্রিপুরার সাথে যুক্ত হতে চলেছে বাংলাদেশ। আখাউড়া নিশ্চিন্তপুর সীমান্ত দিয়েও দু’দেশের মধ্যে রেল পরিষেবার সংযােগ হতে চলেছে।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের সাংসদ তথা কমটি অন এস্টিমেইটসের চেয়ারম্যান ড. মহম্মদ আব্দুস সহিদ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার মানুষের সার্বিক সহায়তার কথা কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ পর্যটন উৎসবের মধ্য দিয়ে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও নিবিড় হবে। এই উৎসব দু'দেশের মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও সুদৃঢ় করবে। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও পর্যটন শিল্প খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।