Hare to Whatsapp
রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জলের সংযােগ পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে মিশন মুডে কাজ চলছে :পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান মন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, এপ্রিল ১৭, : জলজীবন মিশনের মাধ্যমে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জলের সংযােগ পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তর মিশন মুডে কাজ করছে। ১৬ এপ্রিল সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যে জল জীবন মিশনের কাজের অগ্রগতি এবং বাস্তবায়ন সম্পর্কে পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে একথা জানান। তিনি জানান, ২০১৯ সালে জলজীবন মিশন প্রকল্প চালু হয়। রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার ৭,৬০,০৫২টি বাড়ীর মধ্যে এখন পর্যন্ত জলজীবন মিশন প্রকল্পে ৩,৫৭,৯৭৩টি বাড়িতে ট্যাপ সংযােগের মাধ্যমে পানীয় জলের সংযােগ পৌছে দেওয়া হয়েছে। জলজীবন মিশন প্রকল্প চালু। হওয়ার আগে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় মাত্র ২৪,৫০২টি বাড়িতে ট্যাপ সংযােগের মাধ্যমে পানীয় জল পৌছানাে হয়েছিল। শতাংশের নিরিখে এই হার ছিল ৩.২২ শতাংশ। এখন পর্যন্ত রাজ্যে মােট ৩,৮২,৪৭৫টি বাড়িতে ট্যাপ সংযােগের মাধ্যমে পানীয়জল পৌছানাে সম্ভব হয়েছে। এতে ৫০.৩২ শতাংশ বাড়িতে পানীয় জলের সংযােগ পৌছানাে সম্ভব হয়েছে। যা জাতীয় গড় থেকে বেশি। টেপ সংযােগের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পানীয়জল প্রদানের ক্ষেত্রে বর্তমানে দেশের মধ্যে ত্রিপুরা ১৬তম স্থানে ও উত্তর পূর্বাঞ্চল রাজ্যগুলির মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তরের মন্ত্রী আরও জানান, সারা রাজ্যে ১, ১৭৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ভিলেজ কমিটির মধ্যে মােট ৮৭২৩টি পাড়া রয়েছে। এর মধ্যে ১,৪৭৬টি পাড়ায় ১০০ শতাংশ ট্যাপ সংযােগের মাধ্যমে পানীয়জল পৌছানাে হয়েছে। ১, ১৮৫ টি পাড়ায় ট্যাপ সংযােগের মাধ্যমে পানীয়জল পৌছানাে হয়েছে ৭৫ থেকে ১০০ শতাংশ। ১,৫৪৭টি পাড়ায় ট্যাপ সংযােগের মাধ্যমে পানীয়জল পৌছানাে হয়েছে ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ এবং ২,৭৬২টি পাড়ায় ট্যাপ সংযােগের মাধ্যমে পানীয়জল পৌছানাে হয়েছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত। মন্ত্রী জানান, রাজ্যের ৮টি জেলার ৪,৫৩৬টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩,৪০৭টি বিদ্যালয়ে ট্যাপ সংযােগের মাধ্যমে পানীয়জলের সংযােগ প্রদান করা হয়েছে। শতাংশের নিরিখে এই হার হলাে ৭৫.১১ শতাংশ। তিনি জানান,রাজ্যের ৮টি জেলায় ৮,৯৩২টি অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র রয়েছে। এরমধ্যে ৪,৭৩৫টি অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে ট্যাপ সংযােগের মাধ্যমে পানীয়জলের সংযােগ প্রদান করা হয়েছে। অবশিষ্ট বিদ্যালয় এবং অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রগুলিতে পানীয়জলের সংযােগ পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে দপ্তর কাজ করছে।
পানীয়জল স্বাস্থ্য বিধান দপ্তরের মন্ত্রী জানান, রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় মােট ৯১৫টি আয়রন রিমােভাল প্ল্যান্ট রয়েছে। আরও প্রায় ১,৩০০টি নতুন আইরন রিমােভাল প্ল্যান্ট স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে দপ্তরের। রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় মােট ২,২২০টি ডিপ টিউবওয়েল রয়েছে। আরও প্রায় ১,২০০টি ডিপটিউবওয়েল করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। স্মল বাের ডিপ টিউবওয়েল রয়েছে ৩,৭৫৮টি। আরও পর্যাপ্ত সংখ্যায় স্মল বাের ডিউ টিউবওয়েল স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে দপ্তরের।
সাংবাদিক সম্মেলনে পানীয়জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তরের মন্ত্রী জানান, আগামী ১ বছরের মধ্যে প্রতিটি পাড়া, বিদ্যালয়, অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে বিশুদ্ধ পানীয়জল পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছে দপ্তর। জলজীবন মিশন প্রকল্পে কাজের সফলতা নিরিখে কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ কোটি টাকা পুরস্কার স্বরূপ রাজ্যেকে প্রদান করেছে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান, রাজ্যে কালচারাল হাব গড়ে তােলার প্রয়ােজনীয়তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রীর সঙ্গে আলােচনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যে কালচারাল হাব গড়ে তােলার ক্ষেত্রে প্রয়ােজনীয় সহযােগিতার আশ্বাস প্রদান করেন বলে জানান মন্ত্রী।এছাড়া রাজ্যের খেলাধুলার মানােন্নয়নে প্রয়ােজনীয় পরিকাঠামাে গড়ে তােলার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক মন্ত্রী সঙ্গে আলােচনা হয়েছে বলেও সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে পূর্ত দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে এবং পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনীয়ার রাজীব দেববর্মা উপস্থিত ছিলেন।