Hare to Whatsapp

তিন দিনব্যাপী ব্ৰহ্মকুন্ড মেলার উদ্বোধন মেলায় ছড়িয়ে পড়ে সংহতির বার্তা : তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী

By Our Correspondent

আগরতলা, এপ্রিল ৯, : মেলা মানে বহু মানুষের মিলনস্থল। মেলায় বন্ধুত্ব ও সৌভ্রাতৃত্ব সুদৃঢ় হয়। ছড়িয়ে পড়ে সংহতির বার্তা। ৮ এপ্রিল অশােকাষ্টমী উপলক্ষে ব্ৰহ্মকুন্ডে তিন দিনব্যাপী আয়ােজিত ঐতিহ্যবাহী ব্রহ্মকুন্ড মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথাগুলি বলেন। তিনি বলেন, সব মেলার মতাে ব্ৰহ্মকুন্ড মেলাও বহু মানুষের এক মিলন ক্ষেত্র। প্রতি বছর দু’বার এখানে ব্রহ্মকুন্ডকে উপলক্ষ করে আয়ােজিত হয় এই মেলা। রাজ্যের দূরদূরান্ত থেকে এই মেলায় জাতি জনজাতি মানুষের সমাগম ঘটে। তিন দিনব্যাপী ব্রহ্মকুন্ড প্রাঙ্গণ হয়ে উঠে জনমুখর ঐতিহ্যের এক পূন্যস্থান। তিনি বলেন, সব মেলার মতাে ব্রহ্মকুন্ড মেলাও এ রাজ্যের জাতি জনজাতির ধারাবাহিক ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। দেবদেবীর উপর মানুষের বিশ্বাসকে কেন্দ্র করেই একটি ঐতিহ্যময় স্থান বিকাশ লাভ করে থাকে। বহু মানুষ এখানে মিলিত হন। তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির বিনিময় করে থাকেন। তাই প্রশাসনকে মানুষের বিশ্বাসকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা মিলন স্থল ও তীর্থ ভূমিগুলিকে সুরক্ষিত করা কর্তব্য। তিনি বলেন, মিলন মেলাগুলির ঐতিহ্য যেন অক্ষুন্ন থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখা সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী শ্রীচৌধুরী বলেন, কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী বৈচিত্রের মাঝে ঐক্য ও সংহতিই এদেশের মূল বৈশিষ্ট। এই বৈশিষ্টকে বজায় রেখেই আমাদের রাজ্যের এই ব্রহ্মকুন্ড প্রাঙ্গণের মিলন মেলাকেও সফল করে তুলতে হবে। তিনি আশা করেন এবারেও ঐতিহ্যময় সংস্কৃতির ধারক ও বাহক এই তিন দিনব্যাপী ব্রক্ষকুন্ড মেলা, প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠিত হবে।

তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর, মােহনপুর মহকুমা প্রশাসন ও ব্রহ্মকুন্ড মেলা কমিটির যৌথ উদ্যোগে আয়ােজিত তিন দিনব্যাপী ব্রহ্মকন্ড মেলার সূচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনিও তিন দিনব্যাপী আয়ােজিত মেলা ও প্রদর্শনীর সাফল্য কামনা করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মা তিন দিনব্যাপী ব্ৰহ্মকুন্ড মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনীকে সুস্থ ও সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সকলের কাছে বিনম্র আহ্বান জানান।

এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হেজামারা বিএসি’র চেয়ারম্যান সুনীল দেববর্মা, ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা, মােহনপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান রীনা দেববর্মা, বিশিষ্ট সমাজসেবী যােগেন্দ্র দেববর্মা। সম্মানিত অতিথি হিসাবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ও সমাহর্তা দেবপ্রিয় বর্ধন। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস। উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের শিল্পীগণ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মােহনপুর মহকুমার মহকুমা শাসক সুভাষ দত্ত এবং বিডিও নারায়ণ চন্দ্র মজুমদার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অতিথিগণ সহ তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী মেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রদর্শনী স্টলগুলি পরিদর্শন করেন।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.