Hare to Whatsapp
রাজ্যে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তােলার পরিকল্পনা নিয়ে রাজ্য সরকার কাজ করছে : তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, এপ্রিল ৭, : রাজ্যে শীঘ্রই সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাস চালু হতে যাচ্ছে। সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের এক প্রতিনিধিদল ৬ এপ্রিল নজরুল কলাক্ষেত্রের ক্যাম্পাস যৌথ পরিদর্শন করে সচিবালয়ের অনুষ্ঠিত এক সভায় এই ফিল্ম ইনস্টিটিউট স্থাপনের সম্ভাবনার কথা ব্যক্ত করেন। সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস, সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর ইনচার্জ সমীরণ দত্ত ও অন্যান্য সদস্যগণ এবং পূর্ত দপ্তর ও তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
নজরুল কলাক্ষেত্রের ক্যাম্পাস পরিদর্শনের পর সভায় সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর ইনচার্জ সমীরণ দত্ত জানান, নজরুল কলাক্ষেত্রের ক্যাম্পাসে ক্লাসরুম, এডিটিং ল্যাব ইত্যাদির জন্য প্রয়ােজনীয় জায়গা রয়েছে। নজরুল কলাক্ষেত্রের ক্যাম্পাসে যে সমস্ত ব্যবস্থাদি রয়েছে তাকে ভিত্তি করে ফিল্ম অ্যাপ্রেসিয়েশন, স্ক্রিন অ্যাক্টিং ও ডকুমেন্টরি তৈরির মতাে স্বল্প সময়ের কোর্স অবশ্যই শুরু করা যেতে পারে। এরমধ্যে প্রথমেই বেসিক কোর্স হিসেবে ফিল্ম অ্যাপ্রেসিয়েশন কোর্স শুরু করা যেতে পারে। এই কোর্সের জন্য প্রয়ােজনীয় ক্লাসরুম এবং স্ক্রিনিং হল এখানে রয়েছে। এই কোর্সে পড়াশুনা করতে ইচ্ছুক রাজ্যের যুবক যুবতীদের রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে উৎসাহিত করার উপর গুরুত্ব আরােপ করেন তিনি। ডিরেক্টর ইনচার্জ শ্রীদত্ত আরও বলেন, ৩টি স্বল্প সময়ের কোর্স শুরু করার পর ধীরে ধীরে প্রযুক্তিগত পরিকাঠামাের উন্নয়ন হলে এখানে দীর্ঘ সময়ের বিভিন্ন কোর্স চালু করার চিন্তা ভাবনা করা হবে। ত্রিপুরায় সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ও
টেলিভিশন ইনস্টিটিউট স্থাপনের বিভিন্ন পরিকাঠামাে যেমন স্যুটিং ফ্লোর, সাউন্ড প্রুফ রুম, লাইটিং ব্যবস্থা ইত্যাদি গড়ে তােলার জন্য রাজ্য সরকারের নিকট প্রস্তাব দেন তিনি। | সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, ছােট করে হলেও রাজ্যে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তােলার পরিকল্পনা নিয়ে রাজ্য সরকার কাজ করছে। এই লক্ষ্যে এখানে সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট স্থাপন করা প্রয়ােজন। এই ইনস্টিটিউট স্থাপিত হলে রাজ্যের যুবক যুবতীদের বিভিন্ন কোর্সের প্রশিক্ষণ নিয়ে রাজ্য ও বহিরাজ্যে গিয়ে তাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কর্মসংস্থানের সুযােগ সৃষ্টি করতে পারবে। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যের অনেক ছেলেমেয়েরই অভিনয় ও মডেলিং-এ উৎসাহ রয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানকে ভিত্তি করে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরজন্য প্রথমেই বিভিন্ন স্বল্প সময়ের | কোর্স চালু করার উপর গুরুত্ব আরােপ করেন তিনি।
সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট স্থাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত পরিকাঠামাের উন্নয়নে নজরুল কলাক্ষেত্রে ক্যাম্পাস পরিদর্শনের জন্য একটি প্রযুক্তিগত এক্সপার্ট টিম পাঠানাের বিষয়ে ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর ইনচার্জের নিকট তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস আহ্বান জানান।