Hare to Whatsapp
জনকল্যাণে রূপায়িত বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির সুফল দ্রুত জনগণের কাছে পৌছে দিতে হবে : পর্যালােচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, মার্চ ৩১, : জনকল্যাণে রূপায়িত বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির সুফল দ্রুত জনগণের কাছে পৌঁছে। দিতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রূপায়ণকারী দপ্তর এবং সংস্থা সমূহকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। ৩০ মার্চ সচিবালয়ের ২নং সভাকক্ষে রাজ্যস্তরীয় দিশা কমিটির পর্যালােচনা সভায় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। সভায় রাজ্যে রূপায়িত বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প সমূহের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালােচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জনস্বার্থবাহী কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি রূপায়ণের ক্ষেত্রে আগামীর কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করার উপর গুরুত্ব আরােপ করেছেন। তিনি বলেন, যেসব কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং যেসব কাজ বর্তমানে রাজ্যে চলছে সেইসব উন্নয়নমূলক কাজগুলি আরও বেশি করে প্রচারের আলােয় নিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, রাজ্যে রূপায়িত বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নিয়মিত তদারকি করতে হবে। এরফলে কাজের গুণগত মান বৃদ্ধির পাশাপাশি তৈরি সম্পদের আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি পাবে।
পর্যালােচনা সভায় শিক্ষা দপ্তরের সচিব ব্রিজেশ পান্ডে রাজ্যে রূপায়িত সমগ্র শিক্ষা এবং পিএম পােষণ (স্কুল মিড ডে মিল) প্রকল্পের কাজের চিত্র তথ্য পরিসংখ্যানের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, সমগ্র শিক্ষা প্রকল্পে রাজ্যের প্রত্যেকটি বিদ্যালয়কে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হবে। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সমস্ত বিদ্যালয়গুলিকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনার পাশাপাশি কম্পিউটার পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে দপ্তরের আধিকারিকদের প্রয়ােজনীয় উদ্যোগ নিতে বলেন। এক্ষেত্রে তিনি বিদ্যুৎ দপ্তরের সহযােগিতায় টাস্ক ফোর্স গঠনের মাধ্যমে কর্মসূচি বাস্তবায়নের উপর গুরুত্ব আরােপ করেন। সভায় শিক্ষা দপ্তরের সচিব বলেন, রাজ্যের ৮৮টি বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক সেকশন চালু করা হয়েছে।
৪০০টি বিদ্যালয়ে সক্ষম ত্রিপুরা প্রকল্প চালু করা হয়েছে। ৪০০টি বিদ্যালয়কে মডেল স্কুলে রূপান্তরিত করা হয়েছে যা শিক্ষাক্ষেত্রে একটি উল্লেখযােগ্য বিষয়। এছাড়াও বিভিন্ন বিদ্যালয় এবং একাডেমিক লিডার / কো-অর্ডিনেটরদের মধ্যে কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ দেওয়া হয়। সভায় শিক্ষায় দপ্তরের সচিব পিএম পােষণ প্রকল্পে রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে মিড ডে। মিলের জন্য এলপিজি সংযােগের ব্যবস্থাপনার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ৮৪৪টি বিদ্যালয়ে কিচেন গার্ডেন করা হয়েছে।
সভায় বিদ্যুৎ দপ্তরের সচিব রাজ্যে রূপায়িত টিএসইসিএল-এর অধীনে কেন্দ্রীয় প্রকল্প, দীনদয়াল গ্রামজ্যোতি যােজনা, ইন্টিগ্রেটেড পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট স্কিম এবং এনএলসিপিআর প্রকল্পের কাজের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত আলােচনা করেন। এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সমস্যার দ্রুত সমাধানে প্রয়ােজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সচিবকে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পর্যালােচনা সভায় সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা ড. সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল রাজ্যে আইসিডিএস এবং সাপ্লিমেন্টারি নিউট্রিশন প্রােগ্রাম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে জানান, রাজ্যে বর্তমানে ৫৬টি আইসিডিএস প্রকল্প চালু আছে। রাজ্যের ৯,৯১১টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ৬ মাস থেকে ৬ বছরের ৩,২৭,৪০৩ জন শিশু এবং ৫৬,২ ১৮ জন গর্ভবতী মহিলা এবং লেক্টেটিং মাদারস সাপ্লিমেন্টারি নিউট্রিশনের আওতায় রয়েছে। তিনি জানান, ১০,৭৩৫টি স্মার্ট ফোন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং সুপারভাইজারদের দেওয়া হয়েছে। ৯, ৯১১ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ৯,৯১১টি গ্রোথ মনিটরিং ডিভাইস দেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ৩,৮৭৪টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এলপিজি সংযােগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ভাতা ইত্যাদি নিয়ে সভায় আলােচনা করা হয়।