Hare to Whatsapp
বাউল গান আমাদের লােকসংস্কৃতির এক বহমান ধারা : তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, মার্চ ২১, : বাউল গান আমাদের লােকসংস্কৃতির এক বহমান ধারা। তাই বাউল গানের বিকাশ আমাদের সংস্কৃতির সমৃদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গ্রাম বাংলার মাঠে ঘাঠে থেকে বাউল সংগীতের সৃষ্টি। এই গানের মধ্য দিয়ে গ্রাম বাংলার মনের কথা, প্রাণের কথা বেরিয়ে আসে। ২০ মার্চ জিরানীয়ার মজলিশপুর গুরুকুল কমিউনিটি হলে ত্রিপুরা লােকসংস্কৃতি সংসদ, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এবং রাণীরবাজার পুর পরিষদ, জিরানীয়া। নগরপঞ্চায়েত ও জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহযােগিতায় দু’দিনব্যাপী আয়ােজিত চতুর্থ রাজ্যভিত্তিক বাউল উৎসবের উদ্বোধন করে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন। বাউল উৎসবে বরিষ্ঠ বাউল শিল্পী সুবল দাস বৈষ্ণব, লােকশিল্পী গিরীন্দ্র মজুমদার এবং লােকশিল্পী গৌরাঙ্গ চন্দ্র দেবকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। মন্ত্রী শ্রী সুশান্ত চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের উত্তরীয় পরিয়ে হাতে সম্বর্ধনা মানপত্র তুলে দেন। তাছাড়াও অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীকে ত্রিপুরা লােকসংস্কৃতি সংসদের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি উপহার দেওয়া হয়। এছাড়া লােকসংস্কৃতি সংসদের শিল্পীদের সহায়তার জন্য আর্থিক অনুদান প্রদানের জন্য এক দাবি সনদপত্র মন্ত্রী শ্রী চৌধুরীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন লােকসংস্কৃতি সংসদের শিল্পীগণ। দু’দিনব্যাপী বাউল উৎসবে সারা রাজ্য থেকে আগত ৪৬ জন বাউল শিল্পী বাউল সংগীত পরিবেশন করবেন।
বক্তব্যে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে এই ইন্টারনেট, ডটকমের যুগে অতি আধুনিকতার ছৌবলে উৎসবে আনন্দ উপভােগ করার মতাে সময় কমে যাচ্ছে। কিন্তু তারমধ্যেও আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সংস্কৃতির মধ্য দিয়েই একটা সমাজ তথা দেশের ঐক্য ও সংহতি গড়ে উঠে। একটা বলিষ্ঠ সমাজ গঠন হয়। তিনি বলেন, আমাদের সরকার এই সংস্কৃতি ও সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত লােকশিল্পী উভয়কেই সুস্থ ও সুন্দরভাবে বাচিয়ে রাখার লক্ষ্যেই কাজ করছে। এই জন্যই আজকের এই বাউল উৎসবের আয়ােজন। আর এই দায়িত্ব গুরুত্ব সহকারে আমাদের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর পালন করছে।
তিনি বলেন, আগামী দিনে রাজ্যের ৫৮টি ব্লকের প্রতিটিতে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মাধ্যমে গড়ে তােলা হবে ৪টি করে সাংস্কৃতিক টিম। প্রতিটি টিমে ২৫ জন করে সদস্য থাকবেন। ঐ টিমে বাউল শিল্পীদের নামও নথিভুক্ত করা হবে। এছাড়া বাউল শিল্পীদের উৎসাহিত করতে তাদের আর্থিকভাবে সাহায্য করার চিন্তাভাবনাও করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উভয়ই সংস্কৃতি বিকাশের জন্য আন্তরিকভাবে সহানুভুতিশীল। যুবসমাজকেই তিনি এ দুদিনের জন্য আধুনিকতার স্পর্শ মুক্ত হয়ে এ উৎসবে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান মঞ্জু দাস, ভাইস চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ, রাণীরবাজার পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রবীর কুমার দাস, জিরানীয়া নগরপঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান রতন কুমার দাস, বিশিষ্ঠ সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক এবং জিরানীয়া ব্লকের বিডিও উৎপল চাকমা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ত্রিপুরা লােকসংস্কৃতি সংসদের সভাপতি অরুণ নাথ, স্বাগত বক্তব্য বে রাখেন ত্রিপুরা লােকসংস্কৃতি সংসদের সদস্য মনােরঞ্জন দাস।