Hare to Whatsapp
হােলি উৎসবের মূল বিষয় হলাে নিজেদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তােলা: মুখ্যমন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, মার্চ ২০, : মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে ১৯ মার্চ হােলি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ১৯ মার্চ সকালে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জাতি, জনজাতি, মুসলিম, হিন্দুস্থানী প্রভৃতি সম্প্রদায়ের আমজনতা আনন্দ, উল্লাসে এ উৎসবে সামিল হন।
সংস্কার ভারতীর শিল্পীরা “ওরে গৃহবাসী খােল দ্বার খােল লাগালাে যে দোল” উদ্বোধনী সংগীতের মাধ্যমে উৎসবের সূচনা করেন। এরপর তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, বিধায়ক রেবতী মােহন দাস, বিধায়ক ডা. দিলীপ কুমার দাস, বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া, বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, ডেপুটি মেয়র মনিকা দাস দত্ত, পুর নিগমের কাউন্সিলারগণ, ত্রিপুরা খাদি ও গ্রামােদ্যোগ পর্ষদের চেয়ারম্যান রাজীব ভট্টাচার্য, ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান টিংকু রায়, ত্রিপুরা রাজ্য হজ কমিটির চেয়ারম্যান জসীমউদ্দিন, সমাজসেবী কিশাের বর্মণ, সামাজসেবী তথা রাজ্য মহিলা মাের্চার সভানেত্রী ঝর্ণা দেববর্মণ সহ সাধারণ মানুষ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে আবির দেন এবং তার সুস্থ, সুন্দর ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। অতিথিগণ মুখ্যমন্ত্রীর পুত্র আরিয়ান দেবকেও আবির মাখিয়ে তাকে আশীর্বাদ করেন। এই আনন্দ উৎসবে মহিলা ও কচিকাচাদের উপস্থিতির হার ছিল লক্ষ্যনীয়। পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এই শুভদিনে ৩৭ লক্ষ ত্রিপুরাবাসীর সুখ, সমৃদ্ধি ও সুন্দর জীবন কামনা করেছেন। তিনি বলেন, হােলি উৎসবের মূল বিষয় হলাে নিজেদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তােলা। তিনি বলেন, আমরা একে অপরর সঙ্গে হােলির আনন্দে মেতে উঠব কিন্তু কিছু ব্যবস্থার মধ্যে থেকে আমাদের চলতে হবে। তবেই হােলির আনন্দ সার্থক হয়ে উঠবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটি ব্যক্তির ইতিবাচক ও উদার মন নিয়ে চলা উচিত। এটাই সফলতার মূল বিষয়। শুধু মুখ্যমন্ত্রীকে ইতিবাচক হলে হবে না। সবাইকে হতে হবে। নেতিবাচক মানসিকতা মানুষের জীবনে কোন না কোন পরাজয় ডেকে আনে। তিনি বলেন, মা ত্রিপুরেশ্বরীর আশীর্বাদে ত্রিপুরার এক সময় যে কালাে দিনগুলি ছিল সেগুলি থেকে বেড়িয়ে আজ আমরা সুন্দর আলাের দিকে এগিয়ে চলেছি। রাজ্য সরকার চায় ত্রিপুরার প্রত্যেকটি মানুষ সফলতা অর্জন করুক। তিনি বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সামাজিক ভাতা ২০০০ টাকা করা হবে। এবারের বাজেটে সেই প্রতিশ্রুতি পালন করা হয়েছে। আশা করি দুর্গাপূজার আগে সেটা দিয়ে দিতে পারব। বাকি যা যা বাজেটে এসেছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এগুলাে রূপায়ণ করা যায় তার উদ্যোগ চলছে। মহিলাদের জন্য রাজ্য সরকারের চাকুরীতে ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, টি এস আর জওয়ানদের রেশন মানি ৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১,০০০ টাকা করা হয়েছে। ব্যারাক এবং কোয়ার্টার মেরামতের জন্য এই প্রথম ৬ কোটি টাকা আলাদা করে রাখা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির নেতৃত্বে ত্রিপুরার প্রতিটি ক্ষেত্রে লাগাতরভাবে মানুষের জন্য এ সরকার উন্নয়নমূলক কাজ করে চলেছে।