Hare to Whatsapp
সুমিত্রা কর সম্মানে ভূষিত হলেন পায়েল দেব
By Our Correspondent
আগরতলা, মার্চ ৭, : গতকাল রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় এক জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ‘সুমিত্রা কর তরুণ লেখক সম্মান-২০২২-এ ভূষিত করা হল তরুণ কবি পায়েল দেবকে। আগরতলায় ন্যাশনাল বুক ট্রাস্টের বুক প্রমোশন সেন্টারে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা উচ্চ ন্যায়ালয়ের বিচারপতি শুভাশিস তলাপাত্র, লোক-গবেষক, কবি ও প্রাবন্ধিক অশোকানন্দ রায় বর্ধন, বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী এবং কবি অমিতাভ কর।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে নীহারিকা পাবলিশার্স এবং সুমিত্রা কর তরুণ লেখক সম্মাননা প্রদান পর্ষদ যৌথ উদ্যোগে ত্রিপুরায় জন্ম, অনূর্ধ ৪০ বছর বয়সী একজন সম্ভাবনাময় কবি, লেখক অথবা গবেষককে এই সম্মাননা প্রদান করে আসছে৷ ২০২২ সালে এই সম্মান পায়েছেন কবি পায়েল দেব। এর আগে এই সম্মান পেয়েছেন চিরশ্রী দেবনাথ (২০১৯), জ্যোতির্ময় দাস (২০২০), অভিজিৎ চক্রবর্তী (২০২১)৷
প্রসংগত, সুমিত্রা করের জন্ম ১৯১৯ সালের ৬ অক্টোবর৷ পিতা সত্যেন্দ্রনাথ সেন, কুমিল্লার বিখ্যাত দেওয়ানী আইনজীবী৷ মাতা স্বর্ণলতা সেন, গৃহবধু৷ শিশু সুমিত্রা মাত্র চার বছর বয়সে মাতৃহীন হন এবং বড়দাদা সুধীরচন্দ্র সেন এবং বৌদি সুধা সেনের কাছে মানুষ হন৷ ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যাপক বড়দাদার বাড়িতে ছিল সাহিত্য-সংস্কৃতির এক অনুপম আবহ৷ কুমিল্লার তখনকার গুণী মানুষেরা নিয়মিত যাতায়াত করতেন তাঁদের বাড়িতে৷ তরুণী সুমিত্রার গানের গলা ছিল সুন্দর৷ তখনকার সময়ে তিনি কৃতিত্বের সাথে ইন্টারমিডিয়েট উত্তীর্ণ হন৷ এরপর পারিবারিক অসুবিধায় আর প্রথাগত পাঠ লাভ করতে পারেননি৷ কিন্তু তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যের এক ক্ষুধার্ত পাঠক৷
শিক্ষক অবনীমোহন করের সঙ্গে ১৯৪৭ সালে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন৷ দেশভাগের অব্যবহিত পরেই এই নবদম্পতিকে পূর্ব-পাকিস্তান ছেড়ে নিঃস্ব অবস্থায় আগরতলা চলে আসতে হয়৷ অন্য অসংখ্য শরণার্থীদের মতোই তারা শুরু করেন নতুনভাবে বেঁচে থাকার সংগ্রাম৷ সুমিত্রা কর তাঁর জীবনের মধ্য দিয়ে সন্তানদের শিখিয়েছিলেন অন্যদের উৎসাহ প্রদানের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ৷ তিনি ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ২৩ এপ্রিল ৯২ বছর বয়সে প্রয়াত হন৷ তাঁর স্মৃতিতে তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র অমিতাভ কর ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে নীহারিকা পাবলিশার্সের সহযোগিতায় ‘সুমিত্রা কর তরুণ লেখক সম্মান’ প্রদান শুরু করেছেন৷
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ নীহারিকা থেকে প্রকাশিত ৩০টি নতুন বইয়ের আবরণ উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকাশক তীর্থঙ্কর দাস।