Hare to Whatsapp
খেলাধুলার চর্চা রাজ্যের সর্বত্র পৌঁছে দিতে সরকার অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে : উপমুখ্যমন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, ফেব্রুয়ারি ২০, : খেলাধুলার চর্চা রাজ্যের সর্বত্র পৌঁছে দিতে সরকার অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। খেলাধুলার চর্চা সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। রাজ্য সরকার চায় জাতীয় পর্যায়ের ব্যাডমিন্টন খেলায় রাজ্যের খেলােয়াড়রা বিজয়ী হােক। জাতীয়স্তরের ব্যাডমিন্টন প্রতিযােগিতায় বিজয়ী হলে রাজ্য সরকার ছেলেদের ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ টাকা ও মেয়েদের ক্ষেত্রে ৭ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেবে। উপমুখ্যমন্ত্রী তথা ত্রিপুরা রাজ্য ব্যাডমিন্টন অ্যাসােসিয়েশনের সভাপতি যীষ্ণু দেববর্মা ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে এনএসআরসিসিতে তিনদিনব্যাপী ৫০তম রাজ্যভিত্তিক ব্যাডমিন্টন প্রতিযােগিতার উদ্বোধন করে একথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার এনএসআরসিসিতে ব্যাডমিন্টনে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য নতুন ৩টি ম্যাট দেবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী প্রতিযােগিতায় অংশগ্রহণকারী ব্যাডমিন্টন খেলােয়াড়দের সফলতা কামনা করেন। তিনি বলেন, রাজ্যের উন্নয়নে প্রতিটি ক্ষেত্রকে যেভাবে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে ঠিক সেভাবে খেলাধুলাকেও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। খেলাধুলার পরিকাঠামােগত উন্নয়ন সহ যে সমস্ত প্রতিভাবান খেলােয়াড় রয়েছে তারা যাতে রাজ্যস্তর থেকে জাতীয়স্তরে সফল হয় সেজন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারেরও সহায়তা চাওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা আশা করবাে আজ এই রাজ্য প্রতিযােগিতায় যারা অংশ নিয়েছে তাদের থেকে অনেকে জাতীয়স্তরে এ রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। প্রতিভাবান খেলােয়াড়রা এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা ব্যাডমিন্টন অ্যাসােসিয়েশনের সচিব সঞ্জীব কুমার সাহা। উল্লেখ্য, এই প্রতিযােগিতায় ১৩, ১৫, ১৭ এবং ১৯ বছরের অনুর্ধ বালক, বালিকা, সিঙ্গেল উইম্যান, সিঙ্গেল ও ডাবল ম্যান এবং মিক্সড ডাবল ইভেন্টে মােট ১৩০ জন ব্যাডমিন্টন খেলােয়াড় অংশ নিয়েছেন। উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুরনিগমের কাউন্সিলার রত্না দও, ত্রিপুরা ক্রীড়া পর্ষদের যুগ্ম সচিব সরযূ চক্রবর্তী প্রমুখ। ত্রিপুরা ব্যাডমিন্টন অ্যাসােসিয়েশন এই প্রতিযােগিতার আয়ােজন করেছে। প্রতিযােগিতায় রাজ্যের ৮ জেলা থেকে মােট ১৩০ জন খেলােয়াড় অংশ নিয়েছেন। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি এই প্রতিযােগিতার সমাপ্তি ঘটবে।