Hare to Whatsapp
উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করছে রাজ্য সরকার : মুখ্যমন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, ফেব্রুয়ারি ৯, : উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করছে রাজ্য সরকার। প্রথমবারের মতাে সম্পন্ন হওয়া সফল ওপেন হার্ট সার্জারি সহ কিডনি, নিউরাের মতাে অন্যান্য জটিল রােগের চিকিৎসার লক্ষ্যেও পদক্ষেপ গৃহীত হচ্ছে। ৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্য ও জেলাভিত্তিক ইনটেনসিফাইড মিশন ইন্দ্রধনুষ ৪০-র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। বিভিন্ন রােগ প্রাদুর্ভাব থেকে সমস্ত গর্ভবতী মহিলা ও শিশুদের সুরক্ষার্থে অত্যাবশ্যকীয় টিকাকরণের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে মিশন ইন্দ্রধনুষ প্রকল্পের অন্তর্গত রাজ্যব্যাপী এই বিশেষ কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে। পূর্ব যােগেন্দ্রনগর সমর স্মৃতি ভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়ােজন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে দু’জন শিশুকে টিকা খাইয়ে দেন এবং একজন গর্ভবতী মহিলাকে টিকা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিগত দিনে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানে জিবিপি হাসপাতালে উপযুক্ত পরিকাঠামাে ছিলাে না। বর্তমানে জিবিপি হাসপাতালে উন্নত পরিকাঠামাে গড়ে উঠায় একের পর এক সাফল্যের নজির সৃষ্টি হচ্ছে। তার অন্যতম। দৃষ্টান্ত সদ্য চালু হওয়া কার্ডিও বিভাগ দ্বারা সফল ওপেন হার্ট সার্জারি। তার পাশাপাশি কিডনি রােগেরও সমস্ত রকমের চিকিৎসা সহ অন্যান্য জটিল রােগের জন্য রাজ্যের মানুষকে যেন আর বাইরে ছুটে যেতে না হয় তার উপযােগী পরিকাঠামাে গড়ে তােলার লক্ষ্যে গুচ্ছ পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন হচ্ছে। রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা এবং আহ্বানে সাড়া দিয়ে বহিরাজ্যে কর্মরত ত্রিপুরার বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীরা রাজ্যমুখী হচ্ছেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোনও সমস্যা হলে মুখ্যমন্ত্রী নিজে ও তার পরিবার জিবি হাসপাতালের চিকিৎসক দ্বারাই চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ করেন। এমনকি সমস্ত পরীক্ষা নিরীক্ষাও জিবি হাসপাতালের ল্যাবে হয়ে থাকে। আশাকর্মী থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিব পর্যন্ত নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনে দক্ষতার সাথে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানে কাজ করছেন। কোভিড় পরিস্থিতিতে ০-১৯ পর্যন্ত বয়সসীমার ছেলেমেয়েদের রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব, সুস্থ কৈশাের প্রকল্প এক উল্লেখযােগ্য ভূমিকা নিয়েছিলাে। বর্তমানে স্বাস্থ্য পরিষেবার মানােন্নয়নের ফলে মন্ত্রিসভার সদস্যগণ থেকে শুরু করে পদস্থ আধিকারিকরাও সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা গ্রহণে উৎসাহিত হচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গণবণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষের কাছে বিভিন্ন অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য সামগ্রী ও অন্যান্য পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেয়েছে গুণমান। তার পাশাপাশি বৃদ্ধি পেয়েছে পণ্যের সংখ্যাও। রাজ্যের অধিকাংশ মানুষ গণবণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে বহুলাংশে উপকৃত হচ্ছেন।