Share Whatsapp

নেতাজী ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের এক কিংবদন্তী নেতা : শিক্ষামন্ত্রী

By Our Correspondent

আগরতলা, জানুয়ারি ২৪, : নেতাজীর দেশপ্রেম সকল দেশবাসীর কাছে পৌছে দিতে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার অতীতের সবকয়টি সরকারের চাইতে সব থেকে বেশী গুরুত্ব আরোপ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি দিল্লির লালকেল্লায় নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুকে নিয়ে একটি ডিজিটাল মিউজিয়াম চালু করেছেন। ২০২১ সালে নেতাজীর জন্মদিনকে পরাক্রম দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাছাড়াও রেলমন্ত্রক থেকে হাওড়া-কালকা এক্সপ্রেসের নাম ‘নেতাজী এক্সপ্রেস’ করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ ২৩শে জানুয়ারি নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতনের সংস্কৃতি ভবনে ১২৬ তম নেতাজী জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের আগে শিক্ষামন্ত্রী শ্রীনাথ সহ উপস্থিত অতিথিগণ নেতাজীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ আরও বলেন, দেশে এখনও অগণিত মানুষের হৃদয়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে রয়েছেন বাপুজী, স্বামীজী ও নেতাজী। সুভাষ চন্দ্র বসু অসামান্য নেতৃত্বের জন্য। নেতাজী হয়ে উঠেছিলেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৩৮ সালে তাকে দেশনায়ক বলে আখ্যায়িত করেন। নেতাজী ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দের ভক্ত ও অনুসারী। নেতাজী বলতেন, স্বাধীনতা অর্জন করে নিতে হয়। দেশমাতৃকাকে পরাধীন মুক্ত করতে তিনি এগারবার ব্রিটিশ সরকারের হাতে কারাবরণ করেছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নেতাজী ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের এক কিংবদন্তী নেতা। তিনিই প্রথম দেশে স্বাধীনতার কথা বলেছিলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতনের পরিচালন কমিটির সম্পাদক তপন চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ। আজাদ হিন্দ ফৌজের পতাকা উত্তোলন করেন ত্রিপুরা খাদি ও গ্রামোদ্যোগ পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুরনিগমের কাউন্সিলার রত্না দত্ত, নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিব্যেন্দু বিকাশ সেন, পশ্চিম জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক অসীম সাহা এবং বিদ্যানিকেতনের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক শিক্ষিকাগণ।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.