Hare to Whatsapp
২০ জানুয়ারি থেকে নৈশকালীন কার্ফু রাত ৯টার পরিবর্তে রাত ৮টা থেকে কার্যকর হবে : তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, জানুয়ারি ১৯, : আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে নৈশকালীন কার্ফু রাত ৯টার পরিবর্তে রাত ৮টা থেকে কার্যকর হবে। এ বিষয়ে ১৯ জানুয়ারি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন নীতি নির্দেশিকা সম্বলিত একটি সার্কুলার ইস্যু করা হবে। ১৮ জানুয়ারি সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্য সরকারের গৃহীত এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি জানান, বর্তমানে রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এই কোভিড পরিস্থিতিস প্রতিরোধে রাজ্য সরকার গত ১০ জানুয়ারি রাজ্যে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। তিনি বলেন, আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে নৈশকালীন কার্ফু রাত ৯টার পরিবর্তে রাত ৮টা থেকে শুরু হবে। রাজ্য মন্ত্রিসভায় এ বিষয়ে আরও বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ১৯ জানুয়ারি এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করা হবে। তিনি জানান, ধর্মীয় অনুষ্ঠান কর্মসূচি যেমন হরিনাম কীর্তন যেসব স্থানে চলছে সবগুলি আগামী ২৩ জানুয়ারি ২০২২ এরমধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জানান, আজ রাজ্য মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে মাল্টিপ্লেক্স, শপিংমল, সিনেমা হল, পার্ক, পিকনিক স্পট ইত্যাদি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখা হবে। এছাড়া প্রদর্শনী মেলাও সব বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, আগরতলা পুর নিগম এলাকার সরকারি অফিসগুলিতে কর্মীর উপস্থিতি ৫০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে যুগ্ম সচিব বা তার উর্ধ্ব পদমর্যাদা সম্পন্নদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক থাকবে বলে জানান তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী।
সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জানান, আগরতলা পুর নিগম এলাকায় গতকাল পর্যন্ত
কোভিড সংক্রমণের হার ২৩.১৫ শতাংশ। মোট সক্রিয় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬, ৪৯১। এরমধ্যে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৬,১৫৯ জন। বাকিগুলি কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্রে রয়েছে। ১০ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জন। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জেলাভিত্তিক তুলনামূলক কোভিড সংক্রমণের পরিসংখ্যানের হার জানাতে গিয়ে বলেন, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় ১৪-১১ শতাংশ, সিপাহীজলা জেলায় ৯.৫৫ শতাংশ, খোয়াই জেলায় ১৩.০৪ শতাংশ, গওওমতী জেলায় ১০.৭৭ শতাংশ, দক্ষিন ত্রিপুরা জেলায় ৮.৩৬ শতাংশ, ধলাই জেলায় ৮.০১ শতাংশ, ঊনকোটি জেলায় ১৩.৮১ শতাংশ এবং উত্তর ত্রিপুরা জেলায় কোভিড সংক্রমণের হার ৪.১৪ শতাংশ। সবমিলিয়ে বর্তমানে রাজ্যে কোভিড সংক্রমণের হার ১০.৭২ শতাংশ যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২.৩৮ শতাংশ।
সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান, রাজ্যের ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের কোভিড টিকাকরণের লক্ষ্যে আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে ২১ জানুয়ারি, ২০২২ পর্যন্ত তিনদিনব্যাপী রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলা মিলিয়ে মোট ৭৩৪টি বিদ্যালয়ে বিশেষ কোভিড টিকাকরণ অভিযানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসুচিতে জেলার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীগণ প্রত্যক্ষভাবে উপস্থিত থেকে এই কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে এবং নাগরিকদের টিকাকরণে উৎসাহ প্রদান করবেন। তিনি জানান, বর্তমানে সারা রাজ্যে ১৮ উদ্ধ নাগরিকদের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে মোট কোভিড টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ৪৮ লক্ষ ৬৪ হাজার ১৫৫টি। শতাংশের নিরিখে ৯১ শতাংশ। রাজ্যে বর্তমানে কোভিড ভ্যাকসিন মজুত রয়েছে ৭ লক্ষ ৮৫ হাজার ১৭০টি।