Hare to Whatsapp
প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনাতেই দেশীয় প্রযুক্তিতে কোভিড টিকা প্রস্তুত করা সম্ভব হয়েছে: মুখ্যমন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, জানুয়ারি ১৭, : প্রধানমন্ত্রীর সুযােগ্য নেতৃত্বে এক বছর আগে আজকের দিনেই স্বদেশীয়ভাবে প্রস্তুত কোভিড টিকাকরণের সূচনা হয়েছিল। দেশের নাগরিকদের জীবনের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে দেশব্যাপী বড় মাত্রায় টিকাকরণ কর্মসূচি চলছে। অরুন্ধুতীনগর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কোভিড টিকাকরণ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। অরুন্ধুতীনগর উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উন্নীতকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেখানে এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হবে সেই স্থানটি আজ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব পরিদর্শন করেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় ভারতের মতাে বিশাল জনসংখ্যার দেশে অল্প সময়ের মধ্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে কোভিড টিকা প্রস্তুত করা সম্ভব হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, গত বছর এই দিন থেকে শুরু হওয়া দেশব্যাপী টিকাকরণ কর্মসূচি মধ্যেই প্রায় ১৫৭ কোটি ডােজ প্রদান করা হয়েছে। মােট কোভিড টিকার ডােজ গ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় ৭৬ কোটি ডােজ মহিলারা নিয়েছেন। জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি ও ইতিবাচক পদক্ষেপের ফলে মােট টিকার ডােজের মধ্যে ৯৯ কোটি কোভিড টিকার ডােজ গ্রামীণ এলাকায় দেওয়া হয়েছে। এরই ফলশ্রুতিতে নগর কেন্দ্রীকতার বদলে টিকাকরণের সুফল সমগ্র দেশব্যাপী বিকেন্দ্রীকরণ করা সম্ভব হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভােটার তালিকা অনুসারে ত্রিপুরায় কোভিড টিকার প্রথম ডােজ ৯৯.৫৩ শতাংশ ও দ্বিতীয় ডােজ ৮২.৩৫ শতাংশ প্রদান করা হয়েছে। তার পাশাপাশি ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া রাজ্য সফলভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। যার গড় প্রায় ৪২ শতাংশ। এক্ষেত্রে আরও দ্রুততার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বয়সের ছেলেমেয়েদের টিকাকরণের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ চলছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবার বিকেন্দ্রীকরণে সরকার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে যথার্থ স্বাস্থ্যবিধি ও অত্যাবশকীয় নীতি নির্দেশিকা প্রতিপালনের লক্ষ্যে সবার প্রতি আহ্বান রাখেন। কোভিড টিকাকরণ কর্মসূচি পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী, সরকার পক্ষের মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়, বিধায়ক মিমি মজুমদার, বিধায়ক অরুণ চন্দ্র ভৌমিক, স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিব জে কে সিনহা, পরিবার কল্যাণ ও রােগ প্রতিরােধক দপ্তরের অধিকর্তা ডা. রাধা দেববর্মা, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মিশন অধিকর্তা ডা. সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল প্রমুখ।