Hare to Whatsapp
একুশ শতকের ভারত সবাইকে সাথে নিয়ে সবার বিকাশের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, জানুয়ারি ৫, : কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় জায়গাতেই যখন উন্নয়নমুখী সরকার থাকে তখন উন্নয়নমূলক কাজ দ্রুত হয়। এক্ষেত্রে ডাবল ইঞ্জিন সরকারের কোনও বিকল্প নেই। ডাবল ইঞ্জিন মানে সেবা, সমৃদ্ধি, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। গত ৪ ডিসেম্বর ২০২২ স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে মহারাজা বীরবিক্রম বিমানবন্দরের নতুন সমন্বিত টার্মিনাল ভবনের উদ্বোধন এবং মিশন ১০০ বিদ্যাজ্যোতি বিদ্যালয় ও মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা গ্রাম সমৃদ্ধি যোজনার আনুষ্ঠানিক সূচনা করে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একথা বলেন। তিনি বলেন, বছরের শুরুতেই ত্রিপুরার জনগণ মাতা ত্রিপুরাসুন্দরীর আশীর্বাদ হিসেবে তিনটি বড় বিষয় উপহার হিসেবে পেয়েছেন। একুশ শতকের ভারত সবাইকে সাথে নিয়ে সবার বিকাশের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমগ্র দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে, অথচ কিছু রাজ্য পিছিয়ে থাকবে এটা বেমানান। এই অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিকাশ দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে মানানসই নয়। ত্রিপুরার মানুষ কয়েক দশক ধরে এই চিত্রই দেখেছেন। ত্রিপুরার উন্নয়ন নিয়ে এক সময়ে পূর্বতন সরকারগুলির কোনও চিন্তাভাবনা ছিলো না। গরিবী ও অনুন্নয়ন ত্রিপুরার নামের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে ছিলো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্যই আমি ত্রিপুরার মানুষকে হীরা মডেলের জন্য ডাক দিয়েছিলাম। আজ হীরা মডেলের মাধ্যমে ত্রিপুরা তার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে
শক্তিশালী করছে। মহারাজা বীরবিক্রম বিমানবন্দর সমগ্র পূর্বোত্তরের যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমানবন্দরে যাত্রীরা নেমেই ত্রিপুরার শিল্প, সংস্কৃতি সম্পর্কে পরিচিত হবেন। রাজ্যের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সম্পর্কে একটা ধারণা তারা বিমান থেকে নেমেই পেয়ে যাবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমগ্র পূর্বোত্তরের গেইটওয়ে হিসেবে ত্রিপুরা যাতে আত্মপ্রকাশ করে সেই লক্ষ্যে ত্রিপুরায় দারুণ কাজ হচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিক করে তোলার জন্য এখন যে কাজ হচ্ছে আগে তা কখনও হয়নি। রেল, সড়কের সঙ্গে যুক্ত একাধিক প্রকল্প নিয়ে কাজ হচ্ছে। আগরতলা- আখাউড়া রেললাইনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞেও সন্তোষ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন গরীবের মাথার উপর ছাদ থাকবে, সবার বাড়িতে পানীয়জলের সংযোগ থাকবে তখন খুশির সীমা থাকবে না। এই লক্ষ্যে কাজ হচ্ছে। উন্নয়নের এই সমস্ত সুফল ইতিমধ্যেই যারা পেয়েছেন তাদের মধ্যে খুশির সীমা নেই। বিভিন্ন প্রকল্পের বেনিফিসিয়ারিরা তাদের সন্তুষ্টির কথা অকপটে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, যখন সব গরীবের কাছে বীমা সুরক্ষা থাকবে, পড়ার সুযোগ থাকবে, কৃষকের কাছে কেসিসি থাকবে তখন গরীবদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। গরীব অংশের মানুষের এই আত্মবিশ্বাসই হচ্ছে একটি রাজ্যের সমৃদ্ধির মূল ভিত্তি। তিনি বলেন, আমি খুশি ত্রিপুরা এই লক্ষ্যে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের বর্তমান সরকার গরীবদের দুঃখ বুঝে এবং তাদের প্রতি সংবেদনশীল। তাদের সংবেদনশীল মানসিকতার জন্যই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ প্রকল্পের শর্তাবলী কেন্দ্রীয় সরকার পরিবর্তন করেছে। এতে গরীব অংশের বহু মানুষ দারুণভাবে উপকৃত হয়েছেন।