Hare to Whatsapp
ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টর নমুনা পরীক্ষা করার পদ্ধতি জিবি হাসপাতালে করা হবে : তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, ২৫ , : রাজ্যে এখন পর্যন্ত ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে রাজ্যের সকলকে সতর্ক এবং সচেতন থাকতে হবে। ২৪ ডিসেম্বর সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সন্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টর বিষয়ে জানাতে গিয়ে এই সংবাদ জানান। তিনি বলেন, বিগত দিনে সকলের সন্মিলিত প্রয়াসে কোভিড ১৯ অতিমারীকে যেভাবে মোকাবেলা করা হয়েছিলো একইভাবে সরকারের কোভিড-১৯ নিয়মাবলী মেনে আগামীদিনে যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাজাগ এবং সর্তক থাকতে হবে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ত্রিপুরাতে আসা ৬৯ জন বিদেশ যাত্রীর মধ্যে ৩৩ জনের ওমিকন সনাক্ত করার জন্য হোল জিনোম সিকুয়েন্সিং পরীক্ষা করা হয়েছে। যারা ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে এসেছিলেন তাদের মধ্যে ৩১ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। বাকি দুইজনের রিপোর্ট এখনও আসেনি। তিনি বলেন, বর্তমানে রাজ্যে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টর সনাক্ত করার মতো সুবিধা না থাকার কারণে পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিকেল অ্যান্ড মলিকুলার স্টেডিসে পাঠানো হয়েছে।
সাংবাদিক সন্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আশা ব্যক্ত করে বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টর নমুনা পরীক্ষা করার পদ্ধতি হোল জিনোম সিকুয়েন্সিং মেশিন বসানোর ব্যবস্থা জিবি হাসপাতালে করা হবে। এর জন্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পৌরাহিত্যে গতকাল দিল্লিতে ওমিক্রন নিয়ে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই অনুসারে প্রত্যেক রাজ্যকে কোভিড বিধি সংক্রান্ত সতকর্তা জারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী শ্ৰীচৌধুরী বলেন, সেই নির্দেশানুসারে ত্রিপুরাতেও ওমিক্রন সংক্রান্ত বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের পৌরোহিত্যে এবং মুখ্যসচিবের পৌরাহিত্যে দুটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, রাজ্যে কোভিড স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এখন যথেষ্ট ভালো। যেহেতু এখন পর্যন্ত ত্রিপুরাতে ওমিক্রন রোগ পাওয়া যায়নি। তাই অযথা উদ্বেগ বা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তাই রাজ্য সরকারের নৈশ কার্ফু জারি করার পরিকল্পনা আপাতত নেই। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের পর থেকে সারা রাজ্যে কোভিড বিধিনিষেধ সংক্রান্ত বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি রাজ্যবাসীর প্রতি আহ্বান জানান, আসন্ন বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষের আনন্দ উৎসব উপভোগ করার পাশাপাশি সবাইকে সতর্ক এবং সচেতন থাকতে হবে এবং কোভিড বিধিনিষেধ অবশ্যই মেনে চলার পরামর্শ দেন।
সাংবাদিক সমেলনে এনএইচএম-এর অধিকর্তা ডাঃ সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল রাজ্যের যে সকল নাগরিক কোভিডের দ্বিতীয় ডোজ এখন পর্যন্ত নেননি তাদের প্রতি অতি সত্বর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার আহ্বান জানান। কোভিড সার্ভিলেন্স অফিসার ডাঃ দীপ দেববর্মা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব অনিন্দ্য কুমার ভট্টাচার্য।