Hare to Whatsapp
মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনস্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণস্বরাষ্ট্র ও পঞ্চায়েত দপ্তরে বিভিন্ন পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে : তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, ডিসেম্বর ২২, : রাজ্য সরকার রাজ্যের কৃষকদের কাছ থেকে আরও ২০ হাজার মেট্রিকটন ধান ক্রয় করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ২১ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি জানান, কৃষকদের কাছ থেকে এই ধান ক্রয় করার জন্য রাজ্য সরকারের ব্যয় হবে প্রায় ৪৫ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা। তিনি বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে রাজ্যের কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করে আসছে। বছরে রবি ও খারিফ মরশুমে ন্যূনতম সহায়কমূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে হাঁপানিয়াস্থিত সোসাইটি ফর ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ এবং ড. বি আর আম্বেদকর টিচিং হসপিটালকে লিজের মাধ্যমে ২৫ একর জমি প্রদান করার সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে। এই কলেজ এবং হাসপাতালের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন সহ আরও উন্নত পরিষেবা যুক্ত করার জন্য এই জমি প্রদান করা হয়েছে বলে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জানান। এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অন্তর্গত ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটির ত্রিপুরায় অব ক্যাম্পাস সেন্টার স্থাপন করার জন্য ৪৯.২১ একর জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। তিনি জানান, সদর মহকুমায় এই ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটির অব ক্যাম্পাস সেন্টার তৈরি করা হবে। দেশের মধ্যে ত্রিপুরা হবে চতুর্থ জায়গা যেখানে ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটির অব ক্যাম্পাস সেন্টার তৈরি করা হবে। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, এই ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি অব ক্যাম্পাসে দেশ-বিদেশ থেকে ছাত্রছাত্রীরা যেমন পড়াশুনা করতে আসবেন তেমনি স্কলাররা গবেষণা এবং ফরেনসিকের আনুষঙ্গিক বিষয় সমূহ খতিয়ে দেখবেন। তিনি বলেন, এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে ত্রিপুরা রাজ্যের যোগাযোগ, শিক্ষা, গবেষণার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রিসভার বৈঠকের আরও সিদ্ধান্তের কথা জানাতে গিয়ে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, আইন দপ্তরের অধীন হাইকোর্টের ৫ নং কোর্টের এস্টাব্লিশমেন্টের জন্য ৩টি নতুন পদ সৃষ্টি করার জন্য অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। এছাড়াও মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইন দপ্তরের অন্তর্গত সকল ক্লার্ক আইনজীবীদের সঙ্গে যুক্ত আছে তাদের বেতনভাতা প্রতিমাসে ৭,৫০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৮,৫০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের অধীনে ৩৫টি মেডিক্যাল অফিসার (ডেন্টাল) নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে। টিপিএসসির মাধ্যমে এই নিয়োগ করা হবে। তিনি জানান, এই ক্ষেত্রে যারা কোভিড ডিউটিতে নিয়োজিত ছিলেন তাদেরকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে ৫টি সায়েন্টিফিক অফিসার, গ্রুপ-বি গ্যাজেটেড পদ পূরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জানান, রাজ্য মন্ত্রিসভা পঞ্চায়েত দপ্তরের অধীন ১, ১৭৮টি পঞ্চায়েত এক্সিকিউটিভ অফিসারের পদ সৃষ্টি করার অনুমোদন করেছে। তিনি জানান, সারা রাজ্যে ১, ১৭৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ভিলেজ কমিটি রয়েছে। প্রতিটি পঞ্চায়েত এবং ভিলেজ কমিটিতে একজন করে পঞ্চায়েত এক্সিকিউটিভ অফিসার আগামীদিনে নিয়োগ করা হবে। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এই পঞ্চায়েত এক্সিকিউটিভ অফিসার গ্রুপ-সি নন-গ্যাজেটেড পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এই পঞ্চায়েত এক্সিকিউটিভ অফিসারের পে স্কেল হবে ৫,৭০০-২৪,০০০। টিপিএসসির মাধ্যমে এই নিয়োগ করা হবে। আবেদনকারীদের বয়সসীমা হতে হবে ১৮ থেকে ৪০ বছর। ৫ বছর রিলাক্সেশন থাকবে এসসি, এসটি এবং পার্সনস উইথ ডিজাবিলিটিদের ক্ষেত্রে। যোগ্যতা থাকতে হবে যে কোনও স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট বা এর সমতুল্য। পাশাপাশি বাংলা, ককবরক, কম্পিউটার বিষয়গুলির উপরও জ্ঞান থাকতে হবে। মন্ত্রী বলেন, রাজ্যের পঞ্চায়েত এবং ভিলেজ কমিটি এলাকায় কাজ দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করার উদ্দেশ্যে এই নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী রাজ্যের বর্তমান কোভিড সংক্রমণের জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।